ফেল করলেও সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না
চলতি বছরের প্রকাশিত এসএসসি ও সমানের ফলে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। একজন শিক্ষার্থী যে বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে সে বিষয়ের পরীক্ষা দিলেই পরবর্তী বছরের নতুন শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে পারবে। বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) ফল প্রকাশের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা কৃতকার্য হতে পারেনি- আমরা জানি, মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে পড়াশুনার সমস্যা হয়েছে। তাদের আবার ভালোভাবে পড়াশুনা করতে হবে। অকৃতকার্য হলেও সব বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে না। যে বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে সে বিষয়ের পরীক্ষা পরের বছর দিয়ে পাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: খারাপ ফলের ভয়ে পালিয়ে যাওয়া মোস্তাকিম পেল জিপিএ-৫
তিনি বলেন, পাশাপাশি তারা পরবর্তী শ্রেণির কার্যক্রমটা চালিয়ে নিতে পারবে। তারা পিছিয়ে থাকবে না। সে ব্যবস্থা আমরা করে দিয়েছি। এ বিষয়ে অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। অভিভাবকরা শুধু অভিভাবকই নন, কিছু ক্ষেত্রে তাদের শিক্ষকের ভূমিকা পালন করতে হবে।
আরও পড়ুন: অনলাইন শিক্ষায় জোর দিলেন প্রধানমন্ত্রী
এর আগে, এদিন সকাল পৌনে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের প্রধানের কাছ থেকে ফল গ্রহণ করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। এবার নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড মিলে পাসের হার ৯৩.৫৮। এরমধ্যে নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৯৪.০৮।
আরও পড়ুন: কাল থেকেই এসএসসি’র ফল পুনঃনিরীক্ষার আবেদন
চলতি বছরে করোনাভাইরাসের কারণে বিশেষ তিনটি বিষয়ের উপর পরীক্ষা গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ বিষয়গুলোর ফলাফলের উপর মূল্যায়ন করে ফল প্রকাশিত হয়েছে।
এ বছরে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন পরীক্ষার্থী। মোট ৩ হাজার ৬৭৯ টি কেন্দ্রে এবারের এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মোট ২৯ হাজার ৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কেউ পাস করেনি ১৮ প্রতিষ্ঠানের
সারাদেশে ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের এসএসসি/দাখিল/এসএসসি(ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ১৮ লাখ ৯৯৮ জন পরীক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, ৭১০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে মোট ৩ লাখ এক হাজার ৮৮৭ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। ৭৬০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ভোকেশনাল পরীক্ষা দিয়েছেন এক লাখ ২৪ হাজার ২২৮ জন।