বেসরকারি স্কুলে ভর্তি লটারিতে, থাকতে পারবেন না অভিভাবকরা

চলতি বছর লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বেসরকারি স্কুলে
চলতি বছর লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে বেসরকারি স্কুলে  © ফাইল ফটো

দেশের সব বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চলতি বছর লটারির মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করা হবে শিক্ষার্থী। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণিতে শূন্য আসনে ভর্তিতে পরীক্ষার পরিবর্তে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী বাছাই করে ভর্তি করতে নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। এতে অভিভাবকরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

তবে অভিভাবক প্রতিনিধিসহ ভর্তি কমিটি গঠন করে লটারির কার্যক্রম পরিচালনা হবে। চলতি সপ্তাহেই এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি করা হতে পারে বলে জানা গেছে। এর বাইরে নীতিমালায় নতুন কোনো পরিবর্তন থাকছে না।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মমিনুল রশিদ এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, বেসরকারি স্কুলের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত লটারির মাধ্যমে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। করোনার ঝুঁকি থাকায় সর্তকতা অবলম্বন করতে এ পদ্ধতি বেছে নেয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহে এ সংক্রান্ত নীতিমালা জারি হতে পারে বলে জানান তিনি।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রথম শ্রেণির ভর্তি লটারিতে ও দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা করা হয় প্রতি বছর। তবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করে লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। অনলাইনে ভর্তির ফরম বিক্রি করা হবে। এরপর যাচাই-বাছাই করে লটারির জন্য নির্বাচন করবে কর্তৃপক্ষ।

একাধিক ধাপে লটারি করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এর ফলাফল বিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তবে জনসমাগম এড়াতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অভিভাবকদের প্রবেশের সুযোগ থাকবে না। ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও কয়েকজন অভিভাবক নিয়ে ভর্তি কমিটি গঠন করা হবে।

ওই কমিটি ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে ভর্তির জন্য অভিভাবকদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে পাঁচ থেকে সাতজনকে বাছাই করা হবে। তারা অভিভাবক প্রতিনিধি হিসেবে কমিটিতে যুক্ত করা হতে পারেন।


সর্বশেষ সংবাদ