ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধিকে শোকজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৫০ AM , আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২০, ০৮:৫০ AM
কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার উত্তরপত্রে টেম্পারিংয়ের কারণ জানতে চেয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধিকে ‘শোকজ’ করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির সভাপতি ও বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এ শোকজ জারি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার ও ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান এ কে এম মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে কর্মকর্তা নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থীর উত্তরপত্রে নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ কারণে অধ্যক্ষ অধ্যাপক ফওজিয়া এবং ইংলিশ ভার্সনের শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হককে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাদের শোকজের উত্তর দিতে বলা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অধ্যক্ষ ও শিক্ষক প্রতিনিধির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত কাজ শেষ করেছে। অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনার আগে তার আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয় হয়ে থাকে। সে কারণে তাদের শোকজ দেয়া হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।’
এদিকে গত মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার এ কে এম মাসুদুজ্জামান তদন্তের বিষয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠান। চিঠিতে নিয়োগ পরীক্ষার খাতা মূল্যায়ন কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপস্থিত হয়ে তদন্ত কমিটির সদস্যরা পরীক্ষা উত্তরপত্রসহ বিভিন্ন আলামত সংরক্ষণ করে নিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ নভেম্বর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নের সময় দুজন প্রার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠে।
পরে শিক্ষক প্রতিনিধি ফাতেমা জোহরা হক এক প্রার্থীর নম্বর বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে প্রমাণ পান গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মাজহারুল ইসলাম। পরেরদিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও গভর্নিং বডির সভায় মৌখিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়।