শিক্ষক সংকটে পাঠদান ব্যাহত

  © সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১৯টি পদের মধ্যে ১১টি পদে শিক্ষক রয়েছে। ফলে শিক্ষক সংকটে প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুধাংশু রঞ্জন দেবনাথ বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক সংখ্যার কোটা ১৯ জনে উন্নীত করা হলেও অদ্যাবধি এই কোটা পূরণ হয়নি কখনো। শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ে পাঠদানে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন বর্তমান শিক্ষকরা। এজন্য অধিকাংশ শিক্ষকদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে।

শিক্ষার্থী ও অভিভাবক (মলয় দেব, সাথী পাল, শাহীন আহমেদ, রোকেয়া ইসলাম) জানান, বিদ্যালয়ে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের সংকট রয়েছে। শিক্ষকের অভাবে ঠিকমতো ক্লাস হয় না। এক বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে অন্য বিষয়ের ক্লাস চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে স্কুলে স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অনেক সময় একজন শিক্ষককে পর পর একাধিক ক্লাস নিতে হয়। এতে শিক্ষার মান স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। যার প্রভাব পড়ে শিক্ষার্থীদের ওপর।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক উপপরিচালক জাহাঙ্গীর কবীর আহাম্মদ বলেন, ২০১০ সাল থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে পিএসসি কর্তৃক শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ আছে। এতে করে সিলেটের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ৪০ শতাংশ শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। বিভিন্ন কারণে শূন্য পদগুলো পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। আশা করছি মন্ত্রণালয় এবং পিএসসির মাধ্যমে সরাসরি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগের মাধ্যমে বিদ্যালয়গুলোতে শতভাগ শূন্যপদ পূরণ করা সম্ভব হবে।


সর্বশেষ সংবাদ