আবরারকে নিয়ে মতিঝিল আইডিয়ালের বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন

  © টিডিসি ফটো

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় সারাদেশে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের তীব্র আন্দোলনের মুখে হত্যাকারীদের প্রায় সবাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুরু হয়েছে বিচার কার্যক্রম।

পরে বুয়েট থেকে ২৬ শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আবরারের মা রোকেয়া খাতুন ও ভাই আবরার ফাইয়াজসহ পরিবারের সবাই। তবে আবরার হত্যকাণ্ড নিয়ে আলোচনা থেমে নেই।

এবার মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ইংরেজি প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে আবরার ফাহাদকে নিয়ে। এতে আবারারের ওপর একটি প্যাসেজ দিয়ে সে আলোকে প্রশ্নের উত্তর দিতে বলা হয়েছে।

প্যাসেজে লেখা হয়েছে, ‘আবরার ফাহাদ ১৯৯৯ সালে কুষ্টিয়ার রায়ডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. বরকতুল্লাহ এবং মাতা রোকেয়া খাতুন। তার ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ।’ এছাড়া তার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ‘আবরার তার স্বপ্ন পূরণের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়। সে বুয়েটের শেরাবাংলা হলে থাকত। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর সে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর শিকার হয়।’

আইডিয়াল স্কুলের পরীক্ষায় আবরার হত্যকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করায় অনেকে তা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। সেখানে আবরারের কথা স্মরণ করে নানা মন্তব্য লিখেছেন তারা। আবরার ফাহাদকে নিয়ে প্রশ্ন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহান আরা বেগমে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘আমি আসলে প্রশ্নটা দেখিনি, এ ব্যাপারে জানিও না। এজন্য এখন কোন মন্তব্য করতে পারছি না।’

এর আগে গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ২৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করে বুয়েট প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে অন্য ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেওয়া হয়। আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েটের করা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বুয়েটের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন এ সিদ্ধান্ত নেয়। বহিষ্কৃত ২৬ জনের মধ্যে ২৫ জন পুলিশের অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি।

প্রসঙ্গত, গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মী।

এ ঘটনার পর থেকে প্রথমে ক্যাম্পাসে আন্দোলন ও পরে একাডেমিক অসহযোগে রয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এতে বুয়েট কার্যত অচল রয়েছে। ওই ঘটনায় আবরারের বাবার করা মামলায় ১৩ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ।


সর্বশেষ সংবাদ