এবার ইসলাম শিক্ষার পাঠ্যবইয়ে হিন্দু ধর্মের বিষয়!

৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের ১১ ও ১২তম পাতা
৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের ১১ ও ১২তম পাতা  © সংগৃহীত

বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছেই না বিনামূল্যে বিতরণ করা পাঠ্যপুস্তক নিয়ে। এবার কিশোরগঞ্জে কয়েকটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের ভেতরে পাওয়া গেল হিন্দু ধর্ম বিষয়ের বেশকিছু পাতা। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে সরকারের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন ও বিতরণের একমাত্র প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, মুদ্রণ বিভ্রাটের কারণে এটি ঘটে থাকতে পারে।

কিছু বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের পাতা উল্টানোর সময় ১২ পৃষ্ঠা থেকে ২৭ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পাতায় দেবদেবীর ছবি ও তাদের বিবরণ দেখতে পেয়ে অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকদের বিষয়টি জানায় তারা। এরপর শিক্ষার্থীদের বই বদলে দিয়েছেন শিক্ষকরা।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩টি উপজেলায় ৩০০টি সরকারি ও বেসরকারি উচ্চবিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি। গত জানুয়ারিতে এসব শিক্ষার্থীরা নতুন বই পায়।

কিছু বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ইসলাম শিক্ষা বইয়ের পাতা উল্টানোর সময় ১২ পৃষ্ঠা থেকে ২৭ পৃষ্ঠা পর্যন্ত পাতায় দেবদেবীর ছবি ও তাদের বিবরণ দেখতে পেয়ে অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকদের বিষয়টি জানায় তারা। এরপর শিক্ষার্থীদের বই বদলে দিয়েছেন শিক্ষকরা।

হাসমত উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া ইয়াছমীন বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা বইগুলো দেখানোর পর আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জানিয়েছেন দ্রুতই সংশোধিত বই দেয়া হবে।

এরকম অন্তত ডজন খানেক বই অভিভাবকরা ফেরত দিয়েছেন জানিয়ে সরযূ বালা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাখন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, তাদেরকে বইগুলো বদলে দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ইসলাম শিক্ষার কিছু বইয়ে হিন্দু শিক্ষার মলাট, ‘ছাপাখানার ভুল’ বলছে এনসিটিবি

আজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকাররম হোসেন শোকরানা বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যখন বাসায় নিয়ে বইগুলো দেখবে আর যখন এরকম বিষয়গুলো চোখে পড়বে তখন তার কাছে বইটি নিখুঁত মনে হবে না।

জেলা শিক্ষা অফিসার শামছুন নাহার মাকছুদা বলেন, মুদ্রণত্রুটির কারণে কিছু কিছু বইয়ে এমনটি হয়েছে। বিষয়টি এনসিটিবিসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

এনসিটিবি সদস্য (শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান বলেন, মুদ্রণ বিভ্রাটের কারণে এটি ঘটতে পারে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগ যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে।


সর্বশেষ সংবাদ