ভাগিনার পরীক্ষা দিতে এসে মামা কারাগারে
নীলফামারীতে দাখিল পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অভিযোগে জামিদুল ইসলাম নামে একজনকে দেড় বছরের সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে কারাগারে পাঠানো হয়।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিমলা কামিল মাদরাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে এ সাজা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন। এ সময় নিয়মিত পরীক্ষার্থী আফতাবুল ইসলামকেও বহিষ্কার করা হয়।
জামিদুল ছোটখাতা ফাজিল মাদরাসার ফাজিল তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী এবং খালিশা চাপানি বাইশপুকুর এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। জামিদুল ও আফতাবুল সম্পর্কে মামা-ভাগিনা বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন জানান, ‘ছোটখাতা কামিল মাদরাসার পরীক্ষার্থী আফতাবুল ইসলামের প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড দিয়ে চলমান দাখিল পরীক্ষায় ইংরেজি প্রথম পত্রে প্রক্সি দিতে এসেছিলেন জামিদুল।’
আরও পড়ুন : বড় হতে ঢাবি-বুয়েট-মেডিকেলে পড়তে হবে— লিখিত আইন নেই
তিনি আরও জানান, ‘কেন্দ্র সচিব আব্দুস সাত্তারের সন্দেহ হলে তার প্রবেশ পত্র ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড যাচাই করেন। যাচাই করে তিনি জানতে পারেন সে আসল পরীক্ষার্থী নয়। বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে অবগত করলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে দেড় বছরের সাজা প্রদান করা হয়।’
ডিমলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (লাইছুর রহমান জানান, দণ্ডিত জামিদুলকে বিকেলে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।