মাধ্যমিক স্কুলের অভাবে হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ
কুড়িগ্রাম জেলার নদ-নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল-মাদরাসা একদমই শূন্যের কোটায়। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরই পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের। উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নও থমকে যাচ্ছে।
কুড়িগ্রাম জেলায় ১৬টি নদ-নদী ও বড়-ছোট মিলিয়ে ৪০০ এর বেশি চর রয়েছে। কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয় স্বল্প শিক্ষার্থী এবং কথিত ভাড়াটে শিক্ষক দিয়ে চালু আছে। কিন্তু মাধ্যমিক পর্যায়ের পর্যাপ্ত স্কুল না থাকায় প্রাথমিকের পরই থমকে যাচ্ছে পড়াশোনা। ছেলেরা শুরু করছেন কৃষিকাজ, বাল্যবিবাহের শিকার হচ্ছেন মেয়েরা। ৫ লাখ মানুষের জন্য এমপিওভুক্ত মাত্র ৫টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ২টি মাদরাসা রয়েছে। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে নদীভাঙনের ঝুঁকিতে।
আরও পড়ুন: ক্লাসরুমে সহপাঠীর ঘুষিতে প্রাণ গেল আকাঈদের
কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বানিজ উদ্দিন জানান, বেসরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে একসাথে ৩৫ জন ছাত্রছাত্রী পাস করলেও হাই স্কুলে ভর্তি হয়েছেন মাত্র ৪ জন। চর এলাকায় হাই স্কুল না থাকাই ঝরে পড়ার মূল কারণ। অনেকেই মাঝপথে ঝরে পড়েন যাতায়াত এবং আবাসন সংকটের কারণে।
জেলা শিক্ষা অফিসার শামসুল আলম জানান, ‘স্থানীয় পর্যায়ে স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিলে সব ধরনের সহায়তা করা হবে।'
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেদুল হাসান জানান, ‘দুর্গম চরে যাতায়াত সমস্যা প্রকট হওয়ায় মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ নেই। তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশনায় চরে শিক্ষার হার কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নিয়ে যেতে চর ভগবতীপুরে উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। ’