ফুল ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে পড়ুন তুরস্কে, বৃত্তি সংখ্যা ৫ হাজার
পশ্চিম এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত রাষ্ট্র তুরস্ক। দেশটির প্রায় বেশিরভাগ অংশই এশিয়া মহাদেশে পড়েছে। উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা ও গবেষণার জন্য দেশটি দিন দিন বিশ্বরাজনীতির অন্যতম পরাশক্তি হয়ে উঠছে। উচ্চশিক্ষা অর্জনে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছেও তুরস্ক বেশ জনপ্রিয় একটি দেশ। শিক্ষার্থীদের নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হয়। স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডিতে তেমনই একটি সুযোগ দিচ্ছে তুরস্ক সরকার।
বাংলাদেশসহ সকল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী ফুল-ফ্রি এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের শেষ সময় আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি। ১০ জানুয়ারি থেকে আবেদন শুরু হয়।
পড়ুন স্নাতক ও স্নাতকোত্তরে স্কলারশিপ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের শেফিল্ড হ্যালাম বিশ্ববিদ্যালয়
‘তুর্কি বালসারি স্কলারশিপ’ এর আওতায় শিক্ষার্থীদের পড়শোনা করতে কোনো ধরনের টিউশন ফি লাগবে না। এছাড়া বিমানে আসা-যাওয়ার খরচ, মাসিক উপবৃত্তি, আবাসনের ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যবীমাসহ নানান ধরনের সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হবে। এ স্কলারশিপের মাধ্যমে তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা।
এ স্কলারশিপের সম্পূর্ণ খরচ তুরস্ক সরকার বহন করবে। এটি তুরস্কের সবচেয়ে সম্মানজনক স্কলারশিপ। মোট ৫ হাজার জনকে এ স্কলারশিপ প্রদান করা হবে। আবেদন করতে কোনো ধরনের আইইএলটিএস বা টোয়েফল স্কোর লাগবে না। স্নাতকের সময়সীমা ৪ থেকে ৬ বছর, স্নাতকোত্তরের ২ বছর ও পিএইচডিতে ৪ বছর।
আরও পড়ুন ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ নিয়ে পড়ুন দক্ষিণ কোরিয়ায়
সুযোগ-সুবিধাসমূহ:
* কোনো টিউশন ফি প্রদান করতে হবেনা।
* মাসিক উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। স্নাতকের জন্য ৮০০ লিরা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিামাণ প্রায় ৯০০০ টাকা।
* স্নাতকোত্তরে ১১০০ লিরা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিামাণ প্রায় ১২৫০০ টাকা।
* পিএইচডিতে ১৬০০ লিরা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিামাণ প্রায় ১৮০০০ টাকা।
* ডরমিটরিতে থাকার সুযোগ।
* খাবার ব্যবস্থা।
* স্বাস্থ্য ব্যয়ের সমস্ত খরচ পাবলিক হেলথ ইন্সুরেন্স বহন করবে।
* বিমানে আসা-যাওয়ার খরচ।
* ফ্রীতে এক বছরের তুর্কি ভাষা কোর্স করা যাবে।
* আবেদন করতে আইইএলটিএস স্কোর লাগবে না।
আবেদনের যোগ্যতা:
* স্নাতকে আবেদনের বয়স সর্বোচ্চ ২১ হতে হবে।
* স্নাতকোত্তরে আবেদনের বয়স সর্বোচ্চ ৩০ হতে হবে।
* পিএইচডিতে আবেদনের বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ হতে হবে।
* স্নাতকের জন্য উচ্চমাধ্যমিকে কমপক্ষে ৭০ শতাংশ মার্কস তুলতে হবে।
* স্নাতকোত্তরে আবেদনের জন্য স্নাতকে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ মার্কস তুলতে হবে।
* পিএইচডিতে আবেদনের জন্য স্নাতকোত্তরে কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ মার্কস তুলতে হবে।
* তবে হেলথ সাইন্স (মেডিসিন, ডেন্টিস্ট্রি এবং ফার্মেসী) প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য কমপক্ষে ৯০ শতাংশ মার্কস তুলতে হবে।
* আবেদকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে।
প্রয়োজনীয় নথি:
* পাসপোর্ট বা জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন।
* পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
* একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট।
* দুইটি রেফায়েন্স লেটার।
* একটি মোটিভেশনাল লেটার।
* স্টেটমেন্ট অফ পারপাস (এসওপি)।
* একটি রিসার্চ প্রোপোজাল।
আবেদন প্রক্রিয়া:
অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে। বিস্তারিত জানতে পড়ুন।