জেনে নিন মাস্টার্স ও পিএইচডিতে ফুল-ফান্ডিং দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা ও ফান্ড পেতে করণীয়
উচ্চশিক্ষায় কানাডা এখন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় গন্তব্য। বিশেষ করে মাস্টার্স ও পিএইচডি পর্যায়ে ফুল-ফান্ডিং পাওয়ার সুযোগ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে আগ্রহী। তবে সফলতার জন্য প্রয়োজন সঠিক দিকনির্দেশনা, পরিকল্পনা ও প্রফেসরভিত্তিক যোগাযোগ।
কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ স্কলারশিপ, রিসার্চ অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ (RA) বা টিচিং অ্যাসিস্ট্যান্টশিপ (TA) সাধারণত প্রফেসরের গবেষণা অনুদান থেকেই আসে। তাই আবেদন করার আগেই সংশ্লিষ্ট প্রফেসরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ফান্ডিং পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। প্রফেসর যদি আগ্রহ দেখান, তবে আপনার ভর্তি ও স্কলারশিপের পথ আরও সহজ হবে।
ফুল-ফান্ডিং পাওয়ার জন্য যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারেন
১. ইউনিভার্সিটি অব আলবার্টা;
২. ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়া (UBC);
৩. ইউনিভার্সিটি অব ক্যালগারি;
৪. ডালহৌসি ইউনিভার্সিটি;
৫. ইউনিভার্সিতে লাভাল;
৬. ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবা;
৭. ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটি;
৮. ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটি;
৯. ইউনিভার্সিতে দ্য মন্ট্রিয়াল;
১০. ইউনিভার্সিটি অব অটোয়া;
১১. কুইনস ইউনিভার্সিটি;
১২. ইউনিভার্সিটি অব সাসকাচুয়ান;
১৩. ইউনিভার্সিটি অব টরোন্টো;
১৪. ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু;
আরও পড়ুন: জেনে নিন বিশ্বসেরা ১০ ফুল-ফ্রি স্কলারশিপ সম্পর্কে
আবেদন প্রক্রিয়া
১. বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রোগ্রাম নির্বাচন
আপনার রিসার্চ বিষয়ের সাথে মিল আছে এমন প্রফেসর ও বিভাগ বেছে নিন।
২. প্রফেসরকে ই-মেইল
সংক্ষিপ্ত পরিচয়, রিসার্চ ইন্টারেস্ট, সিভি এবং প্রয়োজন হলে রিসার্চ প্রোপোজাল পাঠান। বিনয়ের সাথে ফান্ডিং সুযোগ সম্পর্কে জানতে চান।
৩. প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট প্রস্তুত
*স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP);
*রেফারেন্স লেটার;
*ট্রান্সক্রিপ্ট;
*জীবনবৃত্তান্ত সিভি;
*TOEFL/IELTS (যদি প্রয়োজন হয়);
৪. বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদন পোর্টালে আবেদন সাবমিট;
ডেডলাইন অনুযায়ী সবকিছু আপলোড করে আবেদন সম্পূর্ণ করুন।
৫. ধৈর্য ও ফলো-আপ
ফুল-ফান্ডিং পাওয়া সময়সাপেক্ষ। প্রফেসর আগ্রহী হলে অল্প সময় অন্তর সৌজন্যমূলক ফলো-আপ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চশিক্ষা: স্টুডেন্ট ভিসা রিফিউজড হচ্ছে যে পাঁচ ভুলে
ফুল-ফান্ডিং পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়াতে যা করবেন
*শক্তিশালী ও মানসম্মত গবেষণা প্রস্তাব লিখুন;
*পূর্বের গবেষণা বা প্রজেক্ট কাজ থাকলে তা তুলে ধরুন;
*ভালো মানের সুপারিশপত্র সংগ্রহ করুন;
*বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিরিক্ত ফেলোশিপ ও স্কলারশিপে আলাদা করে আবেদন করুন;
*সময়ের অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করুন।