গবেষণা ফেলোশিপ পেলেন ঢাবি-জাবির চার অধ্যাপকসহ ৮ জন

ঢাবি ও জাবির লোগো
ঢাবি ও জাবির লোগো  © ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (আমাই) কর্তৃক প্রণীত গবেষণা ফেলোশিপ পেয়েছেন ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার অধ্যাপক সহ ৮ জন। এছাড়া একজন শিক্ষককে পিএইচডি সম্পন্ন করার জন্য ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৫ জানুয়ারি) মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ওয়েবসাইটে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর অনুমোদন হয়েছে।

আমাই কর্তৃক ফেলোশিপ পাওয়া অধ্যাপকরা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রাব্বানী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মুর্শেদ, অধ্যাপক ড. এস এম আরিফ মাহমুদ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক ড. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. অব্দুল্লাহ আল মাসুম, বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজের সহকারী অধ্যাপক ড. মনসুর আহমেদ এবং দারুল ইসলাম ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খলিলুর রহমান। এছাড়া পিএইচডির জন্য ফেলোশিপ পেয়েছেন ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ মারুফ মিয়া।

আমাই ফেলোশিপ গবেষণা বৃত্তি ২০২৪-২০২৫-এ যোগদানের শর্তাবলিতে বলা হয়েছে, 
‘‘যোগদানের সময় গবেষককে আমাই কর্তৃক প্রণীত চুক্তিনামা অনুযায়ী দ্বিপক্ষীয়ভাবে আমাই (প্রথম পক্ষ) ও গবেষক (দ্বিতীয় পক্ষ)-এর মধ্যে তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তিপত্র এবং জামানতনামা (চুক্তি সম্পাদনকালে আমাই কর্তৃক নির্ধারিত ফরম্যাটে তিনশত টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে) সম্পাদন করতে হবে; গবেষককে গবেষণা শেষে Dissertation / Thesis-এর সাথে একটি Soft কপি pdf Format আকারে আমাই গবেষণা শাখায় জমা দিতে হবে; স্টাডি প্লান, গবেষণা শিরোনাম বা সুপারভাইজার পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে আমাই গবেষণা শাখা হতে পূর্বানুমতি গ্রহণ করতে হবে; আমাই-এর অনুমতি ব্যতিরেকে গবেষক এ গবেষণা কাজের জন্য অন্য কোন সংস্থা/সূত্র থেকে আর্থিক অনুদান বা বৃত্তি ভোগ করতে পারবেন না; গবেষককে নির্দিষ্ট সময়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই সাথে কমপক্ষে ০১ (এক) টি Peer-Reviewed Journal Paper অথবা Conference Paper (Index Preferably) অবশ্যই প্রকাশ করতে হবে। অন্যথায় আমাই গবেষণা নীতিমালা ২০২২-এর নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

গবেষককে একমাসের বেশি সময়ের জন্য বিদেশে যেতে হলে আমাই-এর গবেষণা শাখা থেকে পূর্বানুমতি প্রয়োজন হবে; ফেলোশিপ গবেষণার জন্য আর্থিক মঞ্জুরি ০৩ কিস্তিতে প্রদান করা হবে। প্রথম কিস্তি (৪০%) গবেষণা কাজের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রথম সেমিনার প্রদানের পরে; দ্বিতীয় কিস্তি (৩০%) মধ্যবর্তী সময়ের সেমিনার প্রদানের শেষে এবং অবশিষ্ট কিস্তি সর্বশেষ সেমিনারের ভিত্তিতে (৩০%) চূড়ান্ত রিপোর্ট/অভিসন্দর্ভ জমাদান ও বহির্মূল্যায়নকারী কর্তৃক মূল্যায়ন রিপোর্ট প্রাপ্তির পর প্রদান করা হবে। গবেষণা মঞ্জুরি বরাদ্দ দেওয়ার নিমিত্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গবেষক জমা দিতে বাধ্য থাকবেন। 

ফেলোশিপ গবেষণার ক্ষেত্রে প্রথম কিস্তির (দ্বিতীয় বা সকল কিস্তিসহ) অর্থ হইতে সর্বোচ্চ ৫০% অর্থ গবেষক/সহ-গবেষক, তত্ত্বাবধায়ক ও গবেষণা সহযোগী/সহকারীগণ সম্মানি হিসাবে ব্যয় করতে পারবেন এবং অবশিষ্ট ৫০% অর্থ গবেষণা কাজে ব্যয় করতে হবে। সেমিনারসমূহ এবং সংশ্লিষ্ট যাবতীয় ব্যয় আমাই-এর গবেষণা খাত/উপখাত হতে নির্বাহ করা হবে এবং এই সংক্রান্ত সম্মানি ও যাবতীয় ব্যয় সমন্বয়পূর্বক অর্থ শাখা হতে অবশিষ্ট অর্থ ছাড় করা হবে। গবেষণার শুরুতে ফেলোশিপ গবেষণার গবেষক আমাই গবেষণা নীতিমালা ২০২২-এর উপানুচ্ছেদ ৫.৬-এর আলোকে খাত-উপখাতসহ বাজেট বিভাজনপূর্বক গবেষণাকর্মের ০৩ প্রস্ত সম্ভাব্য গবেষণা বাজেট প্রস্তুতপূর্বক আমাই-এর গবেষণা শাখায় জমা দেবেন; গবেষকগণ আমাই গবেষণা শাখায় যেকোনো যোগাযোগের ক্ষেত্রে যোগদান পত্রে প্রদত্ত স্মারক নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করবেন।’’


সর্বশেষ সংবাদ