একসঙ্গে স্কলারশিপ নিয়ে তিন রুমমেট বন্ধু যাচ্ছেন আমেরিকায়
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়
- আমান উল্যাহ আলভী
- প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৪, ০৪:৪১ PM , আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪, ০৬:০৬ PM
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলের একই রুম থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পেন স্টেট ইউনিভার্সিটিতে পিএইচডি প্রোগ্রামের স্কলারশিপ পেয়েছেন তিন বন্ধু। তারা তিনজনই আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শেষ করেছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে। ছোটবেলা থেকে পরিচয় না থাকলেও ২০১৯-২০ সেশনে বুয়েটে এসে পরিচয় হয় এই তিন বন্ধুর।
ওই তিন শিক্ষার্থী হলেন-মুহাম্মদ শাহেদ হোসেন সোহান, রিয়াসাত ইসলাম সোয়াদ ও ফারহান ফাইয়াজ রহমান। গবেষণার জন্য তাদের পছন্দ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। তারা মনে করেন, একসাথে তিন বন্ধু চান্স পাওয়ায় তাদের গবেষণার কাজগুলো আরো সহজ হয়ে যাবে। পিএইচডি প্রোগাম শেষে দেশে ফিরে রাখতে চান দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে অবদান।
জানা যায়, মুহাম্মদ শাহেদ হোসেন সোহানের গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ি জেলায়। স্কলারশিপ পাওয়া আরেক শিক্ষার্থী রিয়াসাত ইসলাম সোয়াদ তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায় এছাড়াও ফারহান ফাইয়াজ রহমান তার গ্রামের বাড়ি বরিশাল জেলায়। তারা তিনজনই এসএসসি দিয়েছিলেন ২০১৫ সালে আর এইচএসসি পাশ করেন ২০১৭ সালে।
তারা তিনজনই চার বছরের পিএইচডি প্রোগামের জন্য বছরপ্রতি প্রায় কোটি টাকা সমমূল্যের স্কলারশিপ পেয়েছেন। তারা জানান, পুরান ঢাকায় তিন বন্ধু মিলে যাচ্ছিলেন রাতের খাবার খেতে, তখনই সবার আগে স্কলারশিপের ই-মেইল পেয়েছিলেন ফারহান ফাইয়াজ। পরদিন মেইল পেয়েছিলেন মুহাম্মদ শাহেদ হোসেন সোহান ও রিয়াসাত ইসলাম সোয়াদ।
মুহাম্মদ শাহেদ হোসেন সোহান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি এই সুযোগ পেয়ে খুশি কারণ আমার গবেষণার অভিজ্ঞতা সবচেয়ে বেশি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে মিলে যায়। তাছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন আবহাওয়া, সম্প্রদায়, অবস্থান সবকিছু আমার পরিকল্পনা অনুযায়ী সবচেয়ে উপযুক্ত।
পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় পেয়ে রিয়াসাত ইসলাম সোয়াদ জানান, অন্য অনেক বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও অফার পেয়েছি। আমি এই অফারটি মার্চের শেষের দিকে পেয়েছি এবং এটি আমাকে বিভ্রান্ত করে তোলে যে আমি কোন অফারটি বেছে নেব৷ তারপরে সমস্ত সুবিধা এবং অসুবিধা বিবেচনা করে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে বেছে নিই যেখানে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আমার গবেষণা।
ফারহান ফাইয়াজ রহমান বলেন, আমি অন্যদের চেয়ে অনেক দেরিতে অফার পেয়েছি। কিন্তু যে সময়ে আমি অফার পেতে শুরু করি, কয়েকদিন পর একাধিক অফার পেলাম। আমার ক্ষেত্রে, প্রধান ফ্যাক্টর ছিল পরিবেশ, অবস্থান এবং গবেষণা ব্যাকগ্রাউন্ড ম্যাচিং। অন্যান্য সমস্ত অফারগুলোর তুলনা করে আমি এই অফারটি অন্বেষণ করেছি সমস্ত সম্ভাব্য বিবেচনায় আমার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত।
তিনি আরও বলেন, এটি একটি দুর্দান্ত খবর যে আমি আমার ক্যাম্পাসটি এমন লোকদের সাথে শেয়ার করব যাদের আমি ইতোমধ্যেই চিনি। একাকিত্ব এড়াতে এটি দুর্দান্ত। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল গবেষণার মিল।