বুয়েটে প্রথম হওয়া আসীরের ঘরেই আরও দুই প্রকৌশলী
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলে প্রথম স্থান অর্জন করেছেন নটরডেম কলেজের শিক্ষার্থী আসীর আনজুম খান। এর আগে তিনি মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছেন ৬ষ্ঠ তম এবং গাজীপুরের ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজিতে ৮ম তম স্থান অর্জন করেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্বপ্ন বুয়েটে পড়ার এবং তিনি বুয়েটেই ভর্তি হবেন।
বুয়েটের চূড়ান্ত ফলে প্রথম হওয়া আসীর আন্জুম খানের ঘরেই আছেন দুজন প্রকৌশলী। তিনি বলেন, তাঁর বাবা ছিলেন বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। তিনি ছিলেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। আর তাঁর বড় ভাই আসীর ইনতিসার খান বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের প্রভাষক। তিনি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করছেন।
আরও পড়ুন: বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় দ্বিতীয় রাজশাহী কলেজের আবির
গত বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাতে বুয়েটের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়। তারও আগে ১৮ জুন অনুষ্ঠিত হয় চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষা। মোট ২ হাজার ১২৭ জনকে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ের পর এসব শিক্ষার্থীর মধ্য থেকে ১ হাজার ২৭৯ জন ভর্তির সুযোগ পাবেন।
এবার দুই ধাপে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে গত ৪ জুন প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষায় ১৭ হাজার ৩৪ জন অংশ নেন। এতে উত্তীর্ণ প্রায় ৬ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন চূড়ান্ত পর্বের লিখিত পরীক্ষায়।
আরও পড়ুন: বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় তৃতীয় এডওয়ার্ড কলেজের রেজওয়ান
নিজের সাফল্যে বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণ স্মরণ করে আসীর বলেন, আমার বড় ভাইয়া অনেক ভালো স্টুডেন্ট ছিলেন। তার আশা ছিল সে বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় সেরা পাঁচের মধ্যে থাকবেন। কিন্তু তিনি হয়েছিলেন ১৭তম। ভাইয়া রেজাল্ট দেখার পর যখন বাসায় এসেছিলেন; তখন তার মন ভালো ছিল না। সেজন্য আমি চেষ্টা করেছি ১০ বছর আগে ভাইয়া না পাওয়ার যে যন্ত্রণায় ভুগেছে সেটি যেন আমার মাধ্যমে দূর করতে পারি।
এই স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রস্তুতির কথা বলতে গিয়ে তিনি জানান, পাঠ্যবইয়ের ওপরই জোর দিয়েছিলেন। যেকোনো স্পষ্ট ধারণা রাখার ওপর গুরুত্ব দিতেন। আর গাণিতিক বিষয়গুলো বেশি বেশি চর্চা করার চেষ্টা করতেন। অবশ্য কোচিংও করেছেন। আসীর আন্জুম খান একটি কথায় খুব গুরুত্ব দিয়েছেন। তাঁর ভাষ্য, এক ঘণ্টা বা দুই ঘণ্টার ভর্তির পরীক্ষা আসলে সার্বিক সফলতার নির্ণায়ক হতে পারে না।