যেভাবে তৈরি করা হয়েছে এইচএসসির ফল
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:৪০ PM , আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১:৪০ PM
করোনার কারণে এবছর মাত্র তিনটি বিষয়ের ৬টি পত্রে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। তিনটি বিষয়ের নম্বরের সাথে জেএসসি/জেডিসি ও এসএসসি/সমমানের অন্য বিষয়গুলোর নম্বর ম্যাপিং করে এবারের ফল তৈরি করা হয়েছে।
করোনার কারণে এবছর পরীক্ষার্থীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিজ্ঞান বিভাগ, মানবিক বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষার্থীদের একই সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ না করে ভিন্ন সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। ২০২১ সালে সংশোধিত ও পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসে গ্রুপ ভিত্তিক তিনটি নির্বাচিত বিষয়ে ৬টি পত্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলা, ইংরেজি ও আইসিটিসহ অবশিষ্ট বিষয়সমূহের নম্বর এসএসসি/সমমান ও জেএসসি/জেডিসি থেকে বিষয় ম্যাপিং এর মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে জিএসসি/সমমানের ২৫ শতাংশ এবং এসএসসি/সমমানের ৭৫ শতাংশ নম্বর বিবেচনায় নেয়া হয়েছে।
চতুর্থ বিষয়ের ক্ষেত্রে যে তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেগুলো ব্যতীত চতুর্থ বিষয়ের সামঞ্জস্যপূর্ণ বিষয় হতে বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে। চতুর্থ বিষয় জীববিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমানের জীববিজ্ঞান ও জেএসসি/জেডিসির বিজ্ঞান ও গণিত বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর বিষয় ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে। উচ্চতর গণিতের ক্ষেত্রে এসএসসি/সমমানের উচ্চতর গণিত ও জেএসসি/জেডিসের গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ের প্রাপ্ত নম্বর ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়েছে।
করোনার কারণে নির্ধারিত সময়ে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। আট মাস পর ২ ডিসেম্বর তিনটি বিষয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এবছর ২ হাজার ৬২১টি কেন্দ্রে ৯ হাজার ১৮৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১৩ লাখ ৯৯ হাজার ৬৯০ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। এর মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১১ লাখ ৩৮ হাজার ১৭ জন। এদের মধ্যে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৮৩০ জন বিজ্ঞান, ৬ লাখ ৫৬ হাজার ১৩২ জন মানবিক এবং ২ লাখ ২৭ হাজার ৫৫ জন বাণিজ্য বিভাগের। এছাড়া এক লাখ ১৩ হাজার ১৪৪ জন মাদ্রাসা ও এক লাখ ৪৮ হাজার ৫০৩ জন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের।