গুচ্ছের ‘এ’ ইউনিটে সর্বোচ্চ নম্বর ৯৫, ‘বি’ ইউনিটে ৯৩.৭৫

গুচ্চের ‘এ’ ইউনিটে সর্বোচ্চ নম্বর ৯৫, ‘বি’ ইউনিটে ৯৩.৭৫
গুচ্চের ‘এ’ ইউনিটে সর্বোচ্চ নম্বর ৯৫, ‘বি’ ইউনিটে ৯৩.৭৫  © ফাইল ছবি

২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিটের ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৯৫ পেয়েছেন এক ভর্তিচ্ছু। অন্যদিকে ‘বি’ ইউনিটে পরীক্ষায় সবোচ্চ নম্বর ৯৩.৭৫। ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

গত ১৭ অক্টোবর (রবিবার) বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সারাদেশের ২৬টি কেন্দ্রে একযোগে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ৯০ ভাগ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

এই ইউনিটের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এতে সর্বোচ্চ নম্বর ছিল ৯৫। ৯০-এর উপরে পেয়েছেন ১০ জন, ৮০-এর উপরে ১০৩ জন, ৭৫-এর উপরে ২৭০ জন, ৭০-এর উপরে ৫৬৮ জন, ৬০-এর উপরে ২ হাজার ৩৪৬, ৫৫-এর উপরে ৪ হাজার ৫৯২ জন, ৫০-এর উপরে ৮ হাজার ৫৪৩ জন, ৪৫-এর উপরে ১৪ হাজার ৫৯৪ জন এবং ৪০-এর উপরে ২৪ হাজার ১২৭ জন। এই ইউনিটে অস্পষ্ট ৪-৫ জনের ওএমআর বাতিল করা হয়েছে।

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, পরীক্ষা আয়োজন থেকে শুরু করে ফল প্রকাশ পর্যন্ত সব পর্যায়ে কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। ভর্তিচ্ছু ও অভিভাববক সবাই এ কার্যক্রমের প্রশংসা করেছেন।

‘এ’ ইউনিটের পর গত ২৪ অক্টোবর (রবিবার) গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত দেশের ২২টি কেন্দ্রে একযোগে এই ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘বি’ ইউনিটের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এতে সর্বোচ্চ নম্বর ছিল ৯৩.৭৫। ৯০-এর উপরে পেয়েছেন ২ জন, ৮০-এর উপরে ৪৭ জন, ৭৫- এর উপরে ২১৩ জন, ৭০-এর উপরে ৬৪২ জন, ৬০-এর উপরে ৩ হাজার ৩৮৬ জন, ৫৫-এর উপরে ৫ হাজার ৮৭৯ জন, ৫০-এর উপরে ৯ হাজার ৩১২ জন, ৪৫-এর উপরে ১৩ হাজার ৭৭৭ জন, ৪০-এর উপরে ১৯ হাজার ৫৩ জন, ৩০-এর উপরে ৩২ হাজার ৪৫৪ জন। এই ইউনিটে ২ জনের ওএমআর বাতিল করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ভর্তি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর গত ২০ অক্টোবর (বুধবার) গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। অন্যদিকে ২৬ অক্টোবর (মঙ্গলবার) ‘বি’ ইউনিটের ফল প্রকাশিত হয়।

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দীন আহমেদ বলেন, সবাই প্রশংসা করলেও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বিরুদ্ধে একটি চক্র কাজ করছে। এদের থেকে সাবধান থাকতে হবে। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য অনেক কাজ করেছি। ঠিকভাবে ধরলে ৫০০ জনের মতো শিক্ষার্থীর খাতা বাদ পড়ে যেত। কিন্তু মোট ৪-৫ জনের খাতা বাদ পড়েছে। আর দূরের কেন্দ্রে মাত্র ২% শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে। আমাদের প্রথম গুচ্ছ পরীক্ষা। কিছু ভুল থাকতে পারে। আগামীতে সেগুলো সংশোধন করা হবে।


সর্বশেষ সংবাদ