শিল্প সফটওয়্যার তৈরি প্রতিযোগিতা

ড্যাফোডিল-শাবিপ্রবিকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ

  © সংগৃহীত

দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রযুক্তিবিদদের নিয়ে 'গিকী সলিউশন লার্নাথন' আয়োজিত শিল্প সফটওয়্যার তৈরির প্রতিযোগিতায় চ্যাস্পিয়ন হয়েছেন সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ৩ তরুণ প্রযুক্তিবিদ। আন্তর্জাতিক ট্যাক্স নিয়ে কাজ করা সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অরবিট্যক্সের সৌজন্যে দেশের খ্যাতনামা ৯টি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সংগঠন 'গিকী সলিউশন লার্নাথন' এই প্রশিক্ষণ ও প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়া কমপ্লেক্সে অবস্থিত 'অরবিট্যাক্স' এর কার্যালয়ে আয়োজিত বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহম্মেদ। এসময় বি.ডি.জবসের সিইও ফাহিম মাশরুরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। 

প্রতিযোগিতায় প্রথম ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হয়েছে যথাক্রমে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। চ্যাম্পিয়ন দলের শিক্ষার্থীরা চাকরির পাশাপাশি এক লাখ টাকা পুরস্কার পেয়েছেন। প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের ১৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ তরুণ প্রযুক্তিবিদদের মধ্য থেকে ২৫টি দলকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

আয়োজকরা জানান, দেশে প্রতি বছর ২০ হাজার প্রযুক্তিবিদ বের হচ্ছেন। এই হিসেবে গত ৫ বছরে লক্ষাধিক প্রযুক্তিবিদ তৈরি হয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে অধিকাংশই অদক্ষ। দেশে এবং দেশের বাইরে বর্তমানে কয়েক মিলিয়ন দক্ষ প্রযুক্তিবিদ প্রয়োজন। তাই এই উদ্যেগটির লক্ষ্য হচ্ছে দক্ষতা বৃদ্ধি ও দক্ষ প্রযুক্তিবিদ তৈরি করা।

এই লক্ষ্যে অরবিট্যাক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাসান শাহারিয়ার মাসুদ, ক্রাফসমেনের মাহমুদুল হক আজাদ, ইনোসিসের মো. আশরাফ উদ্দিন, কনার মনোয়ার হোসেন তানজিল, ইনুমেন্টের মনজুরুল আলম মামুন, ব্রেইন স্টেশনের রাইসুল কবির, ভিবা সফটের শফিউল হাসান তারেক ও কনার পরিচালক তপু নেওয়াজসহ দেশের ৯টি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান মিলে 'গিকী' গড়ে তুলেছেন। 

অরবিট্যাক্সের হাসান শাহারিয়ার মাসুদ জানান, এবার সারা দেশের ১৬৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে প্রাথমিক বাছাই শেষে ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এবং তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষার্থীদের ২৫টি দলকে চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এই ২৫টি দলকে শিল্প সফটওয়্যার বানানোর জন্য এবং দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৪ মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক দলকে টুইটারের মতো একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন বানাতে দেওয়া হয়। প্রতিটি দল ২ মাসের প্রচেষ্টায় এই সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে জমা দেয় এবং এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

বিশিষ্ট প্রযুক্তিবিদদের একটি প্যানেল এই অ্যাপ্লিকেশন মূল্যায়ন করেন এবং তাদের মূল্যায়নে সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ প্রথমবারেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। চ্যাম্পিয়ন দল সিলেট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিজয়ীদের হাতে এক লাখ টাকার চেক ও অরবিট্যাক্সে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

অরবিট্যাক্সের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক বলেন, এই নতুন বছরের শুরুতেই তারা তাদের প্রতিষ্ঠানে যোগ দেবেন। আগামীতে আরও তরুণ প্রযুক্তিবিদকে এই প্রক্রিয়ায় সুযোগ দেওয়া হবে।

প্রতিযোগিতার বিষয়ে চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য শিবলী মাহমুদ বলেন, কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি নেওয়ার পর দক্ষতা এবং প্রায়োগিক শিক্ষার তেমন সুযোগ পাওয়া যায় না। এই প্রতিযোগিতা এবং প্রশিক্ষণ তরুণ প্রযুক্তিবিদদের জন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ