বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে সপ্তাহে একদিন বেরোবি বন্ধ ঘোষণা, বিপরীত প্রতিক্রিয়া শিক্ষার্থীদের

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় জ্বালানি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় জ্বালানি   © ফাইল ফটো

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের লক্ষ্যে টানা তিন দিন  বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিপরীত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় বেরোবি উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ৪১তম জরুরি সভায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রতি বৃহস্পতিবার  বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সংবাদটি প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের  শিক্ষার্থীরা। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন ফেসবুকে একটি মন্তব্যে বলেন, সবচেয়ে ভালো হইতো ক্লাস ৭ দিনেই অনলাইন এ হইতো। এক্সাম অফলাইনে। এক্সাম টাও অনলাইন হইলে মন্দ হইতো না। তবুও দেশের বিদ্যুৎটা তো বাঁচত।

এইচ.এম. লিওন লিখেছেন, আসলে কি বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে, যদি একটা ক্লাস রুমে ৬০ জন ক্লাস করে তাহলে সর্বোচ্চ ১০ টি ফ্যান লাগবে আর ওনলাইনে ক্লাস করলে ৬০ জনের ৬০টি ফ্যান লাগবে আর সাথে মোবাইল চার্জ ও লাগবে তাহলে কিভাবে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা চাই ক্লাস ওফলাইনে হোক।

শফিউল ইসলাম লিখেছেন, একটা রুমে পঞ্চাশজন শিক্ষার্থীর জন্য সবোর্চ্চ ৫-৭ টা ফ্যান ও ২ টা লাইট অন থাকে। এখন এই ৫০ জন শিক্ষার্থী ওইদিন ক্লাসে না এসে তাদের মেসে প্রতি রুমে দুইজন করে থাকলে ২৫ টা ফ্যান ও ২৫ টা লাইট অন রাখতে হবে। এখন ক্যাম্পাস বাড়তি একদিন বন্ধ রাখলে প্রকৃতপক্ষে বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ কত দাড়াচ্ছে সেই হিসাব কী আছে?

ওবায়দুল ইসলাম মিল্টন লিখেছেন, বন্ধের আগের দিন ও পরের ছুটি নেবে, হয়ে গেল ১৩ মাসেই সেমিস্টার। গণিত, পদার্থ, কম্পিউটার সাইন্স,রসায়ন, ভূগোলের মাস্টারগুলা সেফুদার মত উদ্যাম নিত্য দিচ্ছে।

রতন পজ্জোত বলেন, বাড়তি একদিন বন্ধ রাখলে প্রকৃতপক্ষে বাড়তি বিদ্যুৎ খরচ কত দাড়াচ্ছে সেই হিসাব কী আছে?


সর্বশেষ সংবাদ