২৯ জুন ২০২২, ২০:৫৯

এবার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় জিডি সেই বিজ্ঞানীর

অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী  © টিডিসি ফটো

একই বিভাগের ৩ শিক্ষকের বিরুদ্ধে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ও পরিবেশবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী।

বুধবার (২৯ জুন) ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানায় তার সাধারণ ডায়েরি জমা নিয়ে মো. আ. আজিজকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জিডি নং ১২৫৬। 

জিডিতে অভিযুক্তরা হলেন- মো. নকিবুল হাসান খান, মো. রকিবুল হাসান ও মো. আলিম মিয়া। তিনজনই এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (ইএসই) বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। 

সাধারণ ডায়েরিতে অধ্যাপক আশরাফ উল্লেখ করেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুযায়ী গত ১৩ জুন সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টার সময় পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (ইএসই) বিভাগ ভবনের ৩য় তলার আমার অফিস কক্ষে পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (ইএসই) বিভাগের নাম পরিবর্তন করা যায় কিনা মর্মে এজেন্ডা নিয়ে মো. নকিবুল হাসান খান, মো. রকিবুল হাসান ও মো. আলিম মিয়ার সাথে পরামর্শ করার সময় আমার সাথে তাদের মতবিরোধের সৃষ্টি হয়।

আরও পড়ুন: এবার আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সেই বিজ্ঞানীর

একপর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ঘটনাটি তখন আমার অফিস কক্ষের আশেপাশে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (ইএসই) বিভাগে কর্মরত স্টাফরা দেখেন ও শুনেন। তারা যেকোনো সময় আমার ও আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সামাজিক মান মর্যাদা ক্ষুণ্ন করাসহ জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে। 

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও মো. নকিবুল হাসান খান, মো. রকিবুল হাসান এবং মো. আলিম মিয়া কারোরই বক্তব্য পাওয়া যায়নি। 

এর আগে, গত ১৪ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এনে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন অধ্যাপক আশরাফ। এরপর গত ২২ জুন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর ২৬ পৃষ্ঠার একটি লিখিত অভিযোগও জমা দেন তিনি। 

আগের দুই লিখিত আবেদনের বিষয়ে ড. আশরাফ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমার আবেদনের বিষয়ে তদন্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যাতে আমার বড় দুর্ঘটনা না হয় সেজন্যে থানায় জিডি করেছি।