কুবিতে ৪ গাঁজাসেবী আটক, মুচলেকা আদায়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) মাদক সেবনরত অবস্থায় এক শিক্ষার্থীসহ চারজনকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (১৯ জুন) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের একজন খাদিজা আক্তার নিশাত প্রথমে নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পরবর্তীতে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী হিসেবে দাবি করেন। বাকিরা হলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে শিক্ষার্থী আনাস আহমেদ, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী আমিনুল হাসান খান এবং লালমাই সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী রাসেল খান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পিছনে গাঁজা সেবনরত অবস্থায় সন্দেহজনক মনে হলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টোরিয়াল টিমকে খবর দিলে তারা এসে তাদের আটক করে মাদকসেবীদের। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রক্টর অফিসে নিয়ে এসে তাদেরকে অনুসন্ধান করা হলে গাঁজাসহ মাদক সেবনের সরঞ্জমাদি পাওয়া যায়। এরপর তাদের থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ‘বাবা বলেই তাকে নিয়ে গর্ব করবে-এমন সন্তানদের জন্যই এতো দুর্নীতিবাজ’
তবে হাতেনাতে ধরার পরও তাদেরকে আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে তুলে না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলেছেন, মাদকসেবীদের হাতেনাতে ধরার পরও আইনি পদক্ষেপ না নিয়ে তাদেরকে ছেড়ে দিয়ে প্রকারান্তরে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মাদক গ্রহণে উৎসাহ দিয়েছে প্রশাসন।
সাইফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, মাদকসেবীরা এখন নিশ্চিত হতে পেরেছে যে, বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক গ্রহণ করলেও তাদেরকে আইনের আওতায় যেতে হবে না। এ ঘটনা মাদকসেবীদের আরও নির্ভার করবে।
মিজানুর রহমান নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, অকাট্ট প্রমাণ পেয়েও প্রশাসন মাদকের বিরূদ্ধে অবস্থান নিতে পারেনি। তারাও কি বিশ্ববিদ্যালয়কে মাদক সেবনের নিরাপদ স্থান বানাতে চায়?
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, তারা সবাই ফার্স্ট ইয়ারের শিক্ষার্থী হওয়ায় আমরা প্রক্টরিয়াল বডি, অবিভাবক, পুলিশ প্রশাসন সবাই মিলে বসে এই সিদ্ধান্ত (মুচলেকা) নিয়েছি। আর আমরা মাদক সাপ্লাইয়ের সোর্স ফাইন্ড আউট করতে পেরেছি এবং সেগুলো পুলিশকে জানিয়েছি।
মুচলেকা নেওয়ার সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন কোটবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তারা তাদেরকে (মাদকসেবীদের) আমাদের হাতে তুলে দেয়নি। প্রক্টর স্যারই সব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।