বেরোবি শিক্ষককে ক্ষমা চাইতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাসিবুর রশীদকে স্মারকলিপি দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে।
রবিবার (১২ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়টির ২২টি বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ বরাবর এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তাই সকল শিক্ষার্থী সকল রাজনীতির উর্ধ্বে গিয়ে ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গা থেকে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে। ঠিক ওইদিন রাতেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমান তার ফেসবুক পোস্টে শিবির বলে মন্তব্য করেন। যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনুভূতিতে আঘাত করে।
‘‘শুধু তাই নয়, যে শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করেছে তাদের নামে মামলার হুমকি থেকে নানা রকম হয়রানি করার প্রকাশ্য হুমকি দেন। যা ইতিমধ্যে গণমাধ্যম থেকে সারাদেশে সামাজিকমাধ্যমে বেশ সমালোচিত হয়েছে। এই বিষয়টি সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সম্মানিত মহল মেনে নেয়নি।’’
এর আগে, গত শুক্রবার (১০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির জ্যেষ্ঠ দুই নেতার অবমাননাকর ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: মহানবীর অবমাননার আন্দোলনকারীদের ‘শিবির’ বললেন বেরোবি শিক্ষক
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে শিক্ষক মশিউর লিখেছেন, ‘‘শিবির ক্যাম্পাসগুলোতে কতটা শক্তিশালী প্রশাসন দেখলো তো। পুরো লিডিং এ ছিল শিবির। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে দায়িত্বে থাকা অনেকেই এদের প্রটোকলেও ছিলেন। কি কমু? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের বিরুদ্ধে এক সাথে লড়াই করতে হবে।’’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর দেয়া স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মশিউর রহমানকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে প্রকাশ্য ক্ষমা চাইতে হবে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। অন্যথায় আমরা আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহিম বলেন, মশিউর রহমান স্যার নিয়মিত উগ্রবাদী মনোভাব সম্পন্ন পোস্ট করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করেন। একজন শিক্ষকের ব্যবহার ও কথাবার্তা এতো অমার্জিত হলে শিক্ষার্থীরা তার থেকে কি শিখবে তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যায়।