মারামারি অগ্রহণযোগ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক ও পরিবারও থাকে

সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে এক নেতা। ইনসেটে অধ্যাপক আবদুল মান্নান
সংঘর্ষের সময় ধারালো অস্ত্র হাতে এক নেতা। ইনসেটে অধ্যাপক আবদুল মান্নান  © ফাইল ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় মারামারির জায়গা না, জ্ঞান চর্চার জায়গা। ছেলেমেয়েরা আসে লেখাপড়া করতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই গ্রুপের মারামারি অগ্রহণযোগ্য, অনভিপ্রেত। একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু ছাত্ররা থাকে, তা না। শিক্ষকরা থাকেন, অনেক পরিবার থাকে। ক্যাম্পাসে মারামারি শোভনীয় নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চাইলে এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করতে পারে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষের বিষয়ে একটি গণমাধ্যমকে তিনি এসব কথা বলেন। অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, কর্তৃপক্ষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা নিতে পারে। ক্যাম্পাসের শৃঙ্খলাসহ যাবতীয় বিষয় দেখভালে প্রক্টোরিয়াল বডি থাকে। শৃঙ্খলার স্বার্থে প্রশাসনকে আরও প্রোঅ্যাক্টিভ হতে হবে। মানে লাঠিসোটা ব্যবহার করবে এমনটি নয়, আগে থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে। ঘটনা ঘটার আগেই ব্যবস্থা নেবে।

তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের এখনো অনেক দেরি। এটাকে নির্বাচনের সঙ্গে মেলাতে চাই না। আধিপত্য বিস্তারের জানান দিতে এমন হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের আধিপত্য নিয়ে মারামারি আগে থেকে হয়ে আসছে। এ ধরনের ঘটনায় জড়িতরা যে সবাই ছাত্র, তাও না। বহিরাগতরা অনেক সময় যুক্ত থাকে। আইডি দিয়ে তাদের চিহ্নিত করা যায়। ক্যাম্পাসের সুশৃঙ্খলার জন্য কিছু নিয়মকানুন মেনে চলতে হয়।

আরো পড়ুন: ‘তোর কারণে নকল করতে পারিনি’, বলেই শিক্ষককে পেটালেন সাবেক ছাত্র

অধ্যাপক আবদুল মান্নান আরো বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা নজরে আসে না, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশি হচ্ছে। রাজনীতির ইন্ধন আছে বলে এমনটি ঘটে। সতর্ক থাকতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে। লেখাপড়ার পরিবেশ নিশ্চিতে ছাত্রদের সচেতন থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকেও দায়িত্বশীল হতে হবে।


সর্বশেষ সংবাদ