বাংলাদেশের যে বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় লাল স্বর্গ

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি  © টিডিসি ফটো

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর সরাসরি তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি)। এটি গাজীপুর জেলায় অবস্থিত। ভিন্ন ধাচের স্থাপনার কারণে বেশ সোন্দর্যমন্ডিত বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণে প্রতিটি দেয়াল ও স্থাপত্যে ব্যবহার করা হয়েছে বিশেষ ধরনের লাল রঙের ইট যা বিশ্ববিদ্যালয়টির সৌন্দর্যকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। যার ফলে এটি লাল স্বর্গ নামে পরিচিত।

আর সেই ইটগুলোকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থাপত্য গুলোর শৈল্পিকনকশা করেছেন তুর্কির বিখ্যাত আর্কিটেকট পামির মেহেমেত।

এখানে  বিভিন্ন ইসলামিক দেশ থেকে পড়তে আসা  শিক্ষার্থীরা যার ফলে এখানে একটি বহু দেশীয় বৈচিত্র লক্ষ্য করা যায়। ত্রিশ একরের এই ক্যাম্পাসের প্রতিটি কোনা বিভিন্ন শৈল্পিক স্থাপনায় পরিপূর্ণ। যারা এখানে একবারের জন্যও এসেছে তারা বলে থাকেন, এটি দেশের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও নান্দনিক ক্যাম্পাস। 

বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হলেও আইইউটির একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় এই বিশ্বাবিদ্যালয় চ্যান্সেলর অরগানাইজেশন অফ দ্যা ইসলামিক করপরেশন (ওআইসি) এর মহামান্য সেক্রেটারি জেনারেল। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশের মুসলিম উম্মাদের বিজ্ঞানের দিক থেকে উন্নত করার লক্ষ্যে ওআইসি বিশ্ববিদ্যালয়টি বাংলাদেশে স্থাপন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস ও টেকনোলজি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের এসোসিয়েট প্রফেসর ড.আবুল কালাম আজাদ বলেন,
আমাদের শিক্ষার্থীরা বিশ্বের সকল ভালো ভালো প্রতিষ্ঠানে রয়েছে। যারা আমাদের গর্ব, যারা আমাদের প্রতিষ্ঠানকে উপস্থাপন করে বিশ্ব দরবারে। আর বাংলাদেশ এর মধ্যে বিবেচনা করলে প্রতিবছর পাশ কারা গ্রাজুয়েটরা কর্মক্ষেত্রে খুব সহজেই পদার্পণ করেন তাদের যোগ্যতা বলে।

এক শিক্ষার্থী বলেন,  বাংলাদেশের মত একটি উন্নয়নশীল দেশে এত উন্নত মানের একটি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের বিষয়। যেখানে শুধুমাত্র বাংলাদেশে এই আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়টি অবস্থিত হবার জন্য বহু দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে পড়তে আসছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হতে পারে তারাও নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন। 

বর্তমান প্রেক্ষাপটেও ক্যাম্পাসটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক হওয়ায় সবসময় শান্তি বজায় থাকে। আর বিশ্ববিদ্যালয়টিতে কোনো  ধরনের সেশন জট না থাকায় তাদের গ্রাজুয়েশন এর সময় নিয়ে দুশ্চিন্তায় দিন কাটাতে হয় না। এখানের সিনিয়র জুনিয়র ভাতৃত্ব এককথায় অসাধারণ বলেও জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।