ইবিতে ক্যাম্পাসে একের পর এক তৈরি হচ্ছে অনুমোদনহীন দোকান!
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২১ মে ২০২২, ০১:২৪ PM , আপডেট: ২১ মে ২০২২, ০১:৩২ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে একের পর এক অনুমোদনহীন দোকান তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে তিনটি অনুমোদনহীন দোকান রয়েছে। এতে ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে নিরব ভূমিকা পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের বঙ্গবন্ধু হল পুকুর পাড় সংলগ্ন জিয়া মোড় এলাকায় কম্পিউটার সরঞ্জামাদি মেরামত ও ক্রয় বিক্রয়ের জন্য একটি দোকান এবং লালন শাহ সংলগ্ন এলাকায় একটি চায়ের দোকান চালু করা রয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হল এলাকায় একটি নতুন একটি দোকান করা হলেও সেটি বন্ধ রয়েছে।
তবে দোকান মালিকরা বলছেন, তারা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছেন। এমনকি আগাম টাকাও দিয়েছেন। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন, সম্প্রতি নতুন কোন দোকানের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
নতুন চায়ের দেকানের মালিক সুমন হোসেন বলেন, প্রক্টরের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি এবং আবেদন পত্র এস্টেট অফিসে জমা দিয়েছি। সেই সঙ্গে আগাম দশ হাজার টাকা দিয়েছি।
কম্পিউটার দোকান দেওয়ার বিষয়ে ইলিয়াস জোয়াদ্দার বলেন, দোকানটি আগে বিঞ্চুদার ছিলো। কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে তিনি দোকানটি তৈরি করেছিল। কিছুদিন তিনি অসুস্থ হওয়ায় আমি কিছু টাকার বিনিময়ে দোকানটি ক্রয় করি। আমার ভাতিজাকে দোকান দেখাশোনা করতে বলেছি। দোকানে ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস সংক্রান্ত ও কম্পিউটার সরঞ্জামাদি মেরামত করা হবে।
লালন শাহ হলের প্রভোস্ট বলেন, আমার হলের সামনে দুইটা দোকান ছিল। ওই জায়গায় নতুন হলের কাজ শুরু হওয়ায় প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলে শিফট করা হয়েছে। তবে নতুন দোকানের বিষয়ে আমাকে কেউ আবেদনও করেনি এবং অনুমতিও নেয়নি।
এস্টেট অফিসের ভারপ্রাপ্ত প্রধান টিপু সুলতান বলেন, নতুন তো অনুমোদন হয়ই না। আর হলে প্রভোস্ট ও প্রক্টররা বলতে পারবে। তবে কোন নতুন দোকানের অনুমোদন প্রক্টর ও হল প্রভোস্টের কনসার্ন ছাড়া হয় না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমার জানা মতে নতুন কোন দোকানের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যদি অনুমোদনহীন দোকান তৈরি হয় তাহলে ক্যাম্পাসের পরিবেশ নষ্ট করবে। কাল ক্যাম্পাসে যেয়ে সরেজমিনে দেখবো।