ববিতে হল বন্ধ ১৮ দিন, ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া শিক্ষার্থীদের

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

১৮ দিনের জন্য বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পবিত্র মাহে রমজান, গ্রীষ্মকালীন, মহান মে দিবস, শব-ই কদর, জুমাতুল বিদা, ঈদুল ফিতর এবং বুদ্ধ পূর্নিমার ছুটি উপলক্ষে এ ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে দীর্ঘ এ বন্ধে শিক্ষার্থীদের মাঝে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে উল্লেখ করে ছুটির বিষয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তারা।

হল বন্ধের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল, শেরে বাংলা হল, শেখ হাসিনা হলের স্ব-স্ব প্রভোস্টের স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়েছে, পবিত্র মাহে রমজান, গ্রীষ্মকালীন, মহান মে দিবস, শব-ই কদর, জুমাতুল বিদা, ঈদুল ফিতর এবং বুদ্ধ পূর্নিমার উপলক্ষে ২৮ এপ্রিল থেকে ১৫ মে পর্যন্ত হল বন্ধ থাকবে।

হল বন্ধকালীন সময়ে হলের যাবতীয় সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। প্রশাসনের নোটিশে বন্ধ ঘোষণার পর নির্দিষ্ট সময়ের পূর্বেই হল ত্যাগের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হলের সঙ্গে নির্দিষ্ট এ ১৮ দিন বিশ্ববিদ্যালয়েরও সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে বলে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

এদিকে, বঙ্গবন্ধু হলের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধকালীন সময়ে আবাসিক হল খোলা রাখার জন্য আবেদন করা হলেও তা নাকচ করে দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: শুক্রবারও পরীক্ষা নিচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

হল বন্ধের এই নোটিশে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, সামনে ৪৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা, প্রাইমারি নিয়োগ পরীক্ষা রয়েছে। ঈদের পর অনেকের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা রয়েছে। যারা টিউশন করে চলে তাদের টিউশন রয়েছে। এসব মাথায় রেখে হল প্রশাসনের শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। 

বঙ্গবন্ধু হলের আবাসিক শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মিলান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আর কয়েকদিন পর পর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে হটকারি সিদ্ধান্ত নেয়। তারপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা, সমালোচনা, গালমন্দ দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে। এবারের ছুটিতে একবারও শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শেরে বাংলা হলের এক আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদের বন্ধও ১৮ দিন দেয়া হয়নি। অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের হল ১৮ দিন বন্ধ দিয়ে রেখেছে। এতে আমরা যারা আবাসিক শিক্ষার্থী আছেন তাঁদের জন্য খুবই ভোগান্তির।

বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আরিফ হোসেন জানান, আমাদের নবীন বিশ্ববিদ্যালয়। জনবল কম। হল খোলা রাখতে হলে অনেক ফ্যাসিলিটিস দিতে হয়। এজন্য জনবল দরকার। যারা আছে তাঁরা শীতকালীন ছুটিটা সেক্রিফাইজ করেছে। এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটিটা বাতিল করলে তাদের জন্য অমানবিক হয়ে যায়।


সর্বশেষ সংবাদ