সঙ্গে কোরআন থাকলে যদি শিবির হয়, তাহলে খোদায় সেটি নামাইছে ক্যান?

  © টিডিসি ফটো

আমার ছেলেরে পুলিশ রাতের বেলা ঘুম থেকে তুইলা নিয়ে গেছে। দুইমাস আগে মেসে উঠায় দিয়া আইছি। হের টেবিলের উপর একটা কোরআন শরীফ পাইছে। কোরআন যদি শিবির হয়, খোদায় কোরআন নামাইছে ক্যান?— কান্নাজড়িত কণ্ঠে আক্ষেপের সুরে ছেলের মুক্তি চেয়ে কথাগুলো বলেছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসানের বাবা মোহাম্মদ হানিফ খান।

গত ২৪ মার্চ শিবির সন্দেহে বিশ্ববিদ্যালয়টির ১২ শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছিল রাজধানীর কোতোয়ালি থানা পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পর বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

আজ মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করেন এসব শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা। এসময় সবার পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শিক্ষার্থী মেহেদীর মা নুরজাহান বেগম।

সংবাদ সম্মেলনে মেহেদীর বাবা মোহাম্মদ হানিফ খান প্রশ্ন রেখে বলেন, কোরআন কি শিবির হতে পারে? তাহলে কোরআন কেন খোদায় নামাইছে?

লিখিত বক্তব্যে মেহেদীর মা নুরজাহান বেগম বলেন, শিবির সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যা করা হয়েছিল বিশ্বজিৎকে। যদিও সে একজন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক ছিলো। পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে শিবির বলে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছিল। ঠিক এমন অন্যের দায় আমাদের সন্তানদের উপর চাপিয়ে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করবেন না। দয়া করে আমাদের মনের অবস্থাটা একটু বুঝুন।

তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করবো সরকার বিষয়টি আমলে নিয়ে নিরপরাধ শিক্ষার্থীদের মুক্তি দিবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় বহিষ্কার আদেশ বাতিল করবেন। আমরা খুবই চিন্তায় আছি। এই পবিত্র রমজান ও ঈদে আমাদের সন্তানের আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিন। আমাদের অবিচার করবেন না।


সর্বশেষ সংবাদ