মারামারির ঘটনায় ইবির মামুনের বিষয়ে ২ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত
ক্রিকেট খেলায় মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মামুন অর রশিদের শাস্তির বিষয়ে দুই দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এসব বিষয়ে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তিনি ক্যাম্পাসে না থাকায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না।
শনিবার (৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মু. আতাউর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, মামুনের বিচারের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মামুনের কারণ দর্শানোর নোটিশের ভিত্তিতে মতামত জমা দিয়েছেন। আজকে উপাচার্য ক্যাম্পাসে আসবেন। আশা করি আগামী দুই দিনের মধ্যে এ সিদ্ধান্ত আসবে।
এর আগে, গত ৩০ মার্চ ক্রিকেট খেলায় মারামারির ঘটনায় অভিযুক্ত মামুন অর রশিদকে শোকজ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শোকজের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৮ মার্চে আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে পুকুর পাড়ে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সোহেল শিহাবকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে আহত করেন।
আরও পড়ুন: খেলায় মারামারির ঘটনায় জড়িত সেই শিক্ষার্থীকে শোকজ
ছাত্রশৃঙ্খলা বিধি মোতাবেক কেন আপনার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে বিষয়ে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে উপর্যুক্ত কারণ দর্শানোর জন্য আপনাকে বলা হলো। এরপর নির্ধারিত তারিখের মধ্যে গত ২ এপ্রিল অভিযুক্তের মতামত জমা দিলেও উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সলাম ক্যাম্পাসে না থাকায় এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, অভিযুক্তের মতামতসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
উপচার্যের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, বিচারের অফিসিয়ালি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন আছে। এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার মালিক হলো উপাচার্য। তিনি আজকে ক্যাম্পাসে আসছেন। প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনি সিদ্ধান্ত নিবেন।
গত ২৮ মার্চ (সোমবার) মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজিত ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মাঠে নামে বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইন্জিনিয়ারিং ও ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগ। এ ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুই দফায় মারামারির ঘটনা ঘটে। খেলা শেষে মামুন তাকে মারধরে শিহাব নামের এক শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন।