আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ, ভর্তিচ্ছুদের ক্ষোভ
- নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২২, ০৯:৫৯ PM , আপডেট: ১৭ মার্চ ২০২২, ১০:০৫ PM
আসন ফাঁকা রেখেই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভর্তির অপেক্ষায় থাকা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
জানা গেছে, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে ছয়টি অনুষদে সর্বমোট এক হাজার ৯০ আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দুইবার মেধা তালিকা প্রকাশ ও কোটায় ভর্তির পরও প্রায় দুই শতাধিক আসন ফাঁকা আছে। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে স্নাতক প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রায় দেড় মাস হলো প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। কিছুদিন পর মিডটার্ম পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই অবস্থায় শিক্ষার্থী ভর্তি চলমান রাখলে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস না করেই পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। সেটি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই খারাপ হবে। এছাড়া আরেকটি শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সন্নিকটে চলে আসায় ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নেই কোনো পরিবহন, ফির নামে বছরে নেয়া হয় ৬৮ লাখ টাকা
এ প্রসঙ্গে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবির বলেন, গত মাসের শুরু থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে। অনেক বিভাগ তাদের মিডটার্ম পরীক্ষার রুটিন দিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া সামনে আরেকটা সেশনের ভর্তির সময়ও চলে এসেছে। এমতাবস্থায় ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখলে একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হবে। তাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এদিকে আসন ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা। তারা বলছেন, সবকিছু ভালোভাবে সম্পন্ন করে এই জায়গায় এসে ভুল করছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের কাছে এটি একটি সিট মনে হলেও এগুলো একেক জন শিক্ষার্থীর কাছে একেকটা স্বপ্ন।
আরও পড়ুন: আহতদের খোঁজখবর নিচ্ছে ববি, লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা
এ প্রসঙ্গে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী সুমন জানান, শিক্ষার্থীদের সাথে খুব অন্যায় করা হচ্ছে। প্রথমে গুচ্ছ কমিটি ১২০০ করে টাকা নিল, এরপর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিট প্রতি ৪০০ টাকা করে ফি নিলো। তারা যদি সিট ফাঁকা রেখে দেয়, আমাদের সুযোগ না দেয় তাহলে টাকাগুলো ফিরিয়ে দিক।
ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, এতে করে অনেক ছাত্র-ছাত্রী বিপদে পড়ে যাচ্ছে। কর্তৃপক্ষ সিট খালি থাকা সত্ত্বেও কেন ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করাবেন না? মনগড়া সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরেক বার ভাববার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি, আপনাদের একটু কষ্ট হলেও খালি সিটগুলো পূরণ করে নেবেন। আমাদের সন্তানদের ভর্তির সুযোগ করে দেবেন।