তৃতীয় রিলিজ স্লিপের দাবিতে ভর্তিচ্ছুদের মানববন্ধন

ভর্তিচ্ছুদের মানববন্ধন
ভর্তিচ্ছুদের মানববন্ধন  © টিডিসি ফটো

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্নাসে তৃতীয় রিলিজ স্লিপের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিচ্ছুরা। আজ রোববার (৬ মার্চ) গাজীপুরে অবস্থিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্নাতক ভর্তিতে দুইয়ের অধিক মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয় দশম মেধাতালিকাও দিয়েছে। সেক্ষেত্রে আসন ফাঁকা থাকার পরও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কেন তৃতীয় রিলিজ স্লিপ দিচ্ছে নে?

তারা বলেন, বারবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে  যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা বলেছেন, প্রথম বর্ষের সামনে পরীক্ষা। এখন যদি নতুন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করায় তাহলে শুরুতে ভর্তি হওয়াদের সঙ্গে নাকি তাল মেলাতে পারবো না। না পড়েই নাকি আমরা পরীক্ষা দেবো। বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের না পড়িয়ে পরীক্ষা নিতে পারবে না। তাই তারা আসন ফাঁকা থাকলেও শিক্ষার্থী ভর্তি করাবে না। আমরা বলতে চাই, শিক্ষা আমাদের অধিকার। আসন ফাঁকা না থাকলে আমরা আন্দোলণ করতাম না। কিন্তু প্রায় ৪১ হাজার আসন ফাঁকা রয়েছে সারাদেশে। এই আসনগুলোর দাবিদার আমরা। কর্তৃপক্ষকে সদয় হওয়ার আহ্বান করছি।

আরও পড়ুন- উচ্চ শিক্ষা কি পথ হারাবে?

গত বছরের ১৮ অক্টোবর থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২০২০-২০২১ সালে অনার্স প্রথম বর্ষ ভর্তি কার্যক্রমে প্রথম রিলিজ স্লিপের আবেদন শুরু হয়। শেষ হয় ৩১ অক্টোবর। পরে গত ২৪ নভেম্বর থেকে ২য় রিলিজ স্লিপের আবেদন শুরু হয়। এ ধাপের আবেদন শেষ হয়েছে গত ৬ ডিসেম্বর। ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর থেকে প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান) পড়ানো হয় ৮৮১টি কলেজে। এর মধ্যে সরকারি কলেজ ২৬৪টি এবং বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬১৭টি। স্নাতক (সম্মান) শ্রেণীতে প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য মোট আসন আছে ৪ লাখ ৩৬ হাজার ২৮৫টি। আর ডিগ্রিতে (পাস কোর্স) প্রথম বর্ষে ভর্তিযোগ্য আসন আছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৯৯০টি। সারা দেশের ১ হাজার ৯৬৯টি কলেজে ডিগ্রি কোর্সে পড়ানো হয়। ২০২০-২০২১ সালে ভর্তি হয়েছেন ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৭৮৬ শিক্ষার্থী। আসন শূণ্য রয়েছে প্রায় সাড়ে ৪১ হাজার। ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক (সম্মান), স্নাতক (পাস), কারিগরি ও সমমান পর্যায়ে প্রথম বর্ষে আসন শূণ্য ছিলো ২৪ হাজার ৬৯৪টি।


সর্বশেষ সংবাদ