শিক্ষকের কটূক্তি, লাইভে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের আত্মহত্যার চেষ্টা
জন্ম নিয়ে শিক্ষক কটূক্তি করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের। বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় ওই শিক্ষার্থী।
ভুক্তভোগী ছাত্রের নাম শামীম সিদ্দিকী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেসবুক লাইভে আসেন শামীম। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি বলেন, ‘স্যার জানতে চাইলেন তোমার বাবা কি করেন। আমি বললাম শিক্ষকতা করেন কলেজে। জানতে চাইলেন পদবি কি। আমি সেটা না বলতে পারায়, তিনি বললেন, তুমি তোমার বাবার কেমন ছেলে? জিজ্ঞেস করলেন তোমার বাবার বয়স কত, বললাম ৪৫ হবে, তোমার বয়স কত, বললাম ২২। এরপর তিনি এনিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করলেন। তিনি বললেন, চাকরি নেয়ার পর উনি বিয়ে করলে, হিসেব তো মিলে না। তাহলে তুমি কবে হইছো?’
আরও পড়ুন: এবার হামলার শিকার বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য
এমন প্রশ্ন মেনে না নিতে পেরে, কষ্টের কথাগুলো সবাইকে জানাতে ফেসবুক লাইভে এসে ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষার্থী। লাইভ দেখে, সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। খবর পেয়ে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে যান ছাত্র বিষয়ক পরামর্শক ড. তপন কুমার সরকারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ড. শেখ মেহেদী হাসান বলেন, শামীমকে যা কিছু বলেছি সবকিছু ছিল মোটিভেশনাল। আসলে জন্মের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ছিল না কিংবা কোনো কটূক্তি করিনি। প্রাসঙ্গিক অনেক কথায় হয়েছে। তাকে হেয় করার মতো কোনো কথা আমি বলিনি বরং আমি পড়াশোনায় মনযোগী হওয়ার ব্যাপারে তাগিদ দিচ্ছিলাম। এটা আমার বিরুদ্ধে একটা ষড়যন্ত্র হতে পারে।
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ইমদাদুল হুদা বলেন, খবর পেয়ে আমরা হাসপাতালে গিয়েছি তাকে দেখার জন্য। আগে সে সুস্থ হয়ে উঠুক। তারপর আলোচনা ও তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।