জবির ফার্মেসি বিভাগে সেশনজট তবুও চলছে সান্ধ্যকোর্সের কার্যক্রম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ফার্মেসি বিভাগে একই সঙ্গে চলমান রয়েছে ৬টি শিক্ষাবর্ষের শিক্ষা কার্যক্রম। বিভাগটিতে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত মোট সাতটি ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা চলছে। এতে তীব্র সেশনজটের কবলে পড়েছেন এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা। অথচ বিভাগটিতে নিয়মিত সান্ধ্যকোর্স চালু থাকা রয়েছে।
জানা যায়, বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ২০১৭ সালে স্নাতক ও ২০১৮ সালে স্নাতকোত্তর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এ বর্ষের শিক্ষার্থীরা সাড়ে তিন বছরের জটে এখনো মাস্টার্স দ্বিতীয় সেমিস্টারে আটকে আছে। একই অবস্থা ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষেও।
এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে আমরা সেশনজটের কবলে। আমাদের বিভাগের প্রতিটি ব্যাচ ৬ বছরে অনার্স ও ২ বছরের মাস্টার্স শেষ করতে হয়। নিয়মিত ক্লাস, পরীক্ষা না নেওয়া, রুটিন অনুসরণ না করা, সান্ধ্যকোর্সের গুরুত্ব দেওয়া ও চেয়ারম্যানের গাফিলতির কারণে এমন জটের কবলে পড়ছেন তারা।
আরো পড়ুনঃ শোভাযাত্রায় দাঁড়ানোর জায়গা নিয়ে ছাত্রলীগের দু‘পক্ষের মারামারি
তারা আরও জানান, ‘আমাদের বিভাগের এত সেশনজট থাকা সত্ত্বেও সান্ধ্যকোর্সের কার্যক্রম চলমান। বিভাগের রেগুলার কোর্সের চেয়ে সান্ধ্যকোর্সে শিক্ষকদের আগ্রহ বেশি। তারা এখানে ক্লাস না নিলেও সান্ধ্যকোর্সে নিয়মিত ক্লাস নেন। আমরা ল্যাব ব্যবহারের জন্য ৩০০ টাকা ফি দিলেও, সান্ধ্যকোর্সের জন্য ঠিকভাবে ল্যাব ব্যবহার করতে পারি না।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ২০১৩-১৪ বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ৬ বছরে অনার্স শেষ করছি এখনো মাস্টার্স শেষ করতে পারিনি। কার কাছে অভিযোগ দেবো? শিক্ষকরা ঠিকমত ক্লাস, পরীক্ষা নেন না। অথচ সান্ধ্যকোর্সের ক্লাস-পরীক্ষা নিয়মিত চলছে।
ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এজেডএম রুহুল মোমেন বলেন, আগে থেকেই কিছুটা জট ছিল। করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এটি আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা বেশি জটের মধ্যে আছে। আশা করছি, আগামী ১ বছরের মধ্যে জট নিরসন করতে পারবো।
সান্ধ্যকোর্সের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সান্ধ্যকোর্স চালু ছিল। কোভিডের কারণে এখন বন্ধ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সান্ধ্যকোর্স চালুর নির্দেশ দিলে আবার কার্যক্রম শুরু করবো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চেষ্টা করেছি সেশনজট নিরসনের জন্য। এটি একদিনে তৈরি হয়নি। কোভিডের কারণে এটি মারাত্নক আকার ধারণ করছে। চেষ্টা করছি, শিক্ষার্থীদের দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে এ সেশনজট শেষ করার।