চুল কর্তন: বিষপান করলেন রাতে হুমকি দেওয়া সেই শিক্ষার্থী
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০২:১০ PM , আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২১, ০২:১৭ PM
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বহিষ্কার চেয়ে শুক্রবার রাত থেকে আবারও আমরণ অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টা দিকে অনশন থেকেই বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রকাশ্যে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন শামীম নামে সেই শিক্ষার্থী। তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী।
এরপর দুপুর সোয়া ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা বগুড়া-নগরবাড়ি মহাসড়ক অবরোধ করলে তাদের ওপরে স্থানীয়রা আক্রমণ চালিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রবির শিক্ষার্থী রাকিব হোসেন।
শিক্ষার্থী আবু জাফর হোসাইন ও রাকিব হোসেন বলেন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আন্দোলনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন ওই শিক্ষার্থী শামীম। শামীম এ সময় হঠাৎ করেই পকেট থেকে একটি বিষের বোতল বের করে প্রকাশ্যে পান করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাকে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: চুল কর্তন: দাবি না মানলে শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার হুমকি
শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) রাকিব হাসনাত জানান, রফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষার্থীকে বিষপান করা অবস্থায় দুপুর পৌনে ১টার দিকে ভর্তি করা হয়েছে। তাকে আমরা চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে সে এখন আশঙ্কামুক্ত।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ সেপ্টেম্বর রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠে ওই বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে। অপমান সহ্য করতে না পেরে ২৭ সেপ্টেম্বর নাজমুল হাসান তুহিন নামে এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ করেন। ওই দিন রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান, সহকারী প্রক্টর ও সিন্ডিকেট সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়।
গত শুক্রবার বিকেলে অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিষয়ে সিন্ডিকেট সভায় কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।