রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়
চুল কাটাসহ ৩ বছরের স্বেচ্ছাচারিতার বর্ণনা দিলেন অর্ধশত ছাত্র-শিক্ষক
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১০:০৭ PM , আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২১, ১০:০৭ PM
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় গঠিত পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি সংশ্লিষ্টদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। আজ রবিবার (৩ অক্টোবর) সকাল থেকে নির্যাতিত ১৩ ছাত্র কমিটির কাছে উপস্থিত হয়ে ও অসুস্থ এক ছাত্র হাসপাতাল থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সাক্ষ্য দেন।
এছাড়া দিনভর প্রত্যক্ষদর্শী ১৫ শিক্ষার্থী, ৩ শিক্ষক, ৫ কর্মচারী ও ৫ জন অন্য বিভাগের শিক্ষার্থীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি গত তিন বছরে অভিযুক্ত শিক্ষকের ‘স্বেচ্ছাচারিতা’র বর্ণনা দিয়ে সাক্ষ্য দেন বিভিন্ন বিভাগের আরও আট শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি সাক্ষ্য দেন।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর পৌর এলাকায় কান্দাপাড়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সেমিনার কক্ষে প্রত্যেককে পৃথকভাবে ডেকে নিয়ে তদন্ত কমিটি জিজ্ঞাসাবাদ করে। প্রত্যেকেই ওই দিনের চুল কেটে দেওয়ার বর্ণনা দেন। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অনেকেই এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র এ কে এম নাজমুল হোসাইন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়টির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওই শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন ও অনশন শুরু করেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ ছাড়া এ ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির আশ্বাসে গকাল শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নিয়ে আন্দোলন শিথিল করেন। তবে আজ সকাল থেকে দিনভর তারা একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। তারা ফারহানা ইয়াসমিনের স্থায়ী বরখাস্ত না হওয়া পর্যন্ত এ অবস্থান থেকে পিছু হটবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অপর দুই মুখপাত্র আবু জাফর ও শামীম হোসেন বলেন, তদন্ত কমিটির কাছে সাক্ষীরা শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন নিজ হাতে কাঁচি দিয়ে ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন। এরপরও যদি তাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্থায়ী বরখাস্ত করা না হয়, তবে আবারও কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধানও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর লায়লা ফেরদৌস হিমেল বলেন, এখনো তদন্তের কাজ শেষ হয়নি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা সমুচিত হবে না।