এনআইডি নেই ২২ লাখের, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে

করোনার টিকা
করোনার টিকা  © প্রতীকী ছবি

দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ুয়া ৪৩ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২২ লাখেরই জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই। আর জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) নেই অন্তত ৩ লাখের।  এনআইডি না থাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) ওয়েবলিংকে নিবন্ধনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে রাজধানীর ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে বলে জানা গেছে।

৪৩ লাখ শিক্ষার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত পৌনে ৬ লাখ শিক্ষার্থী ন্যূনতম এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। আর নিবন্ধন করেছে সাড়ে ১৮ লাখ। এ অবস্থায় ইউজিসি অনলাইনে টিকাসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু এতে তেমন একটা সাড়া নেই। গত ৮ দিনে মাত্র দেড় লাখ শিক্ষার্থী তাদের টিকা, এনআইডি ও বিআরসি সংক্রান্ত তথ্য দিয়েছে। এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিতে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। 

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, এটা ঠিক যে একটা ঝুঁকি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে এটাও ঠিক যে, শতভাগ ঝুঁকিমুক্ত অবস্থার জন্য আর অপেক্ষার সুযোগ নেই; সেটা সম্ভবও নয়। ১-২ শতাংশ ঝুঁকি থাকবেই।

ইউজিসির সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে শিক্ষার্থী ৪৩ লাখ। কমিশিনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান জানান, শিক্ষার্থীদের মধ্যে সাড়ে ৪ লাখ ছাত্রছাত্রী এক ডোজ আর ১ লাখ ২২ হাজার উভয় ডোজ টিকা নিয়েছেন। আবার মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে সাড়ে ১৮ লাখ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থী ১ লাখ ৩২ হাজার। তাদের মধ্যে ৮০ শতাংশই টিকা নিয়েছেন। এনআইডি না থাকা এবং ওয়েবলিংকে নিবন্ধনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন রাজধানীর ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে বলে জানান তিনি।

ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ হোসেনের নেতৃত্বে ইউজিসির লিংকে শিক্ষার্থীদের তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে। তিনি বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর প্রথম প্রহরে শিক্ষার্থীদের টিকা সংক্রান্ত তথ্য নিবন্ধন শুরু হয়। এখন পর্যন্ত দেড় লাখ নিবন্ধন করেছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে সরাসরি অনেক তথ্য আসছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ লাখ শিক্ষার্থীর এনআইডি কার্ডই নেই। যারা নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবে না, তারা ক্যাম্পাসও খুলতে পারবে না।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কতজন শিক্ষার্থীর এনআইডি ও বিআরসি আছে- সব শিক্ষার্থীর এ তথ্য সংগ্রহের পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া যাবে। এরপর ক্যাম্পাসে মেডিকেল সেন্টার অথবা নিকটস্থ জেলা হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করা হবে।

ইউজিসির কর্মকর্তারা বলছেন, আইন অনুযায়ী, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দেয়ার এখতিয়ার তাদের সিন্ডিকেট বা রিজেন্ট বোর্ড এবং একাডেমিক কাউন্সিলের। তাই যখন তারা ‘সন্তুষ্ট’ হবে, তখন দায়িত্ব নিয়েই তারা ক্যাম্পাস খুলতে পারবে। ইতোমধ্যে দুই শর্তে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও খুলে দেয়ার অনুমতি দিয়েছে ইউজিসি।


সর্বশেষ সংবাদ