নতুন ক্যাম্পাসের অনিয়মের অভিযোগ দুদকে যাবে: জবি উপাচার্য
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের প্রকল্পের অর্থের হিসাবে অনিয়মের বিষয়টি তদন্তের জন্য দুদকের কাছে পাঠানো হবে। রবিবার (২৯ আগস্ট) সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক।
তিনি বলেন, গত শনিবার (২৮ আগস্ট) নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্প নিয়ে একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে। নতুন ক্যাম্পাসের কাজে কোনো অনিয়ম আছে কিনা তা তদন্তের জন্য দুদকের কাছে পাঠানো হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দুদক।
জানা যায়, ২০১৮ সালের অক্টোবরে একনেক সভায় ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন: ভূমি অধিগ্রহণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্প পাস হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ১৯২০ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। ২০১৯ সালে ৮৯৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
পড়ুন: জবির নতুন ক্যাম্পাস প্রকল্পে ৫৪১ কোটি টাকার গড়মিল!
২০২১ সালের ১১ মার্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক বার্ষিক সভার তথ্য অনুযায়ী, জবির নতুন ক্যাম্পাসের জন্য ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত ১৪৪১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তবে এর মধ্যে ৫৪১ কোটি টাকা কোন কোন খাতে ব্যয় হয়েছে, তা জানাতে পারেননি প্রকল্প কর্মকর্তারা। ওই সভায় পরামর্শক নিয়োগ ও মাস্টার প্লান প্রণয়নের ক্রয় প্রক্রিয়া পিপিআর অনুযায়ী না হওয়ায় অনুমোদন দেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মাস্টারপ্ল্যানের দরপত্রে সৃজনী উপদেষ্টা লিমিটেড কারিগরি মূল্যায়নে সর্বোচ্চ স্কোর অর্জন করে এবং তাদের সেবার মূল্য চাওয়া হয় ৪ কোটি ৮ লাখ ৫১ হাজার টাকা। কিন্তু তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমানের পরামর্শে নির্মাণ প্রতিষ্ঠান আরবানাকে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়, যার সেবামূল্য ২১ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এ অনিয়মের চিত্র মন্ত্রণালয়ের নজরে আসলে মাস্টারপ্ল্যানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারিশকৃত কোম্পানি আরবানাকে অনুমোদন না দিয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগে নতুন করে একটি কম্পোনেন্ট করে ইআইও আহ্বান করেন। কিন্তু প্রকল্প কর্মকর্তারা সিঙ্গেল চয়েজের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বাতিলকৃত নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান আরবানাকে মাস্টারপ্ল্যানের কাজ দেওয়ার জন্য প্রেরণ করেন।
পড়ুন: জমি অধিগ্রহণে অনিয়ম, পুনরায় দরপত্র আহ্বানের উদ্যোগ
২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান মাস্টারপ্ল্যানের একটি চিত্র প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন জায়গায় উপস্থাপন করেন। প্রতিষ্ঠান নিয়োগের আগেই আরবানার মাধ্যমে মাস্টারপ্ল্যানের এ কাজ করে নেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।