জবি শিক্ষার্থীর উপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর-লুট
- জবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০২১, ০৯:১৫ PM , আপডেট: ০৮ আগস্ট ২০২১, ০৯:১৫ PM
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর গ্রামের বাড়িতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) এক শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের উ. লোহাজুরীর ৬নং ওয়ার্ডে সোরহাবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবেশী তাজুল ইসলাম হায়দারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
ভুক্তভোগীরা জানান, হামলার শিকার আব্দুল্লাহ ফাহাদ জাকিরের বাড়ির জমিতে জোর পূর্বক ঘর উঠাতে চায় তাজুল ইসলাম হায়দার। তাজুল ইসলাম হায়দার অবৈধভাবে জমি দখল করে ঘর উঠাতে চাইলে বাধা দেয় আব্দুল্লাহ ফাহাদ জাকির ও তার পরিবারের সদস্যরা।
এসময় তাদের উপর হায়দারের পিতা ফজু ও পূর্বচরের ইসলাম উদ্দিনের নির্দেশে এবং হায়দারের নেতৃত্বে এবং ফরিদ ও মমতার যোগসাজশে ১০-১৫ জন মুখোশ (মাস্ক) পড়া সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। এ হামলায় জবি শিক্ষার্থী জাকির, তার ছোট ভাই, বড় ভাই, তার মা গুরুতর জখম হয়। তাদের সবাইকে উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হামলার সময় আব্দুল্লাহ ফাহাদ জাকিরের বোন ও ভাবির অলংকার লুট করে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা।
হামলায় আহত আব্দুল্লাহ ফাহাদ জাকির বলেন, আমাদের জায়গায় ঘর উঠানোতে বাঁধা দিলেই সন্ত্রাসীরা হামলা করবে এটা আমাদের জানা ছিল না। ইউনিয়নের ঝিড়ারপাড়, বাহেরচর ও পূর্বচরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী ও গুন্ডা এনে হত্যার উদ্দেশ্যে সশস্ত্র হামলা হয়েছে আমাদের উপর।
তিনি বলেন, পূর্বপরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলায় আমাদের সবাইকে মারাত্মক জখম করে। টিনের দেয়াল ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে লুটতরাজ চালানো হয়। এসময় তারা আমার বোন ও ভাবির অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। আমার ছোট ভাইয়ের মাথায় কুপের ফলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম হায়দার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, আমার নেতৃত্বে মারামারি হয়নি। আমি দুই পক্ষের মধ্যস্থতাকারী। আমার চাচাতো ভাইয়ের সাথে ওদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। ওরা হালকা ব্যথা পেয়েছে শুধু।
এ বিষয়ে কটিয়াদির থানার ওসি শাহাদাত হোসেন বলেন, আমরা ঘটনা সম্পর্কে অবগত হয়েছি। তদন্তের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমি ঘটনাটা সম্পর্কে জেনেছি। ঘটনার সত্যতা যাচাই করে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে আমি কথা বলবো। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের পাশে রয়েছি।