জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া যথাসময়ে: উপাচার্য

  © সংগৃহীত

সাধারণত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার মাঝামাঝি সময়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারাদেশের কলেজগুলোতে ভর্তি প্রক্রিয়া চলতো। আর সেখানে ভর্তি হতে হতে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ফল প্রকাশ হয়ে যেত। এতে যদি কোনো শিক্ষার্থী পছন্দের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেতেন, তাহলে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হতে পারতেন।

কিন্তু এবার করোনার কারণে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ভর্তি পরীক্ষাই নিতে পারছে না। অন্যদিকে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আবেদন ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। ফলে উচ্চশিক্ষায় ভর্তির ক্ষেত্রে এক ধরনের জটিল হিসাব নিয়ে বসতে হচ্ছে ভর্তি-ইচ্ছুক কয়েক লাখ শিক্ষার্থীকে।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা বিগত বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি যারা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন তাদের লক্ষ্য স্থির থাকে, তাদের সেভাবে প্রস্তুতি থাকে। ফলে তারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতে অংশ নেন না। তবে এটাও ঠিক, অনেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ভর্তি হন।

যথাসময়ে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছর ধরেই আমরা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আসছি। সেখানে দেখেছি, ১ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তির পর চলে যায়। এজন্য আমরা দ্বিতীয় রিলিজ স্লিপের মাধ্যমে মেধাক্রম অনুযায়ী ভর্তি করে থাকি। তবে এবার যদি দেখি বেশি শিক্ষার্থী চলে গেছে, প্রয়োজনে তৃতীয় রিলিজ স্লিপের ব্যবস্থা করা হবে। আর যারা পরে ভর্তি হবে তাদের ক্লাসের জন্য কোন সমস্যা নেই তারা চাইলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে ক্লাস দেখতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় তার স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে চলে। তাই এই সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার মধ্যে নিয়ে আসাই আমার কাছে মনে হয় ভালো সিদ্ধান্ত।

তথ্যমতে, সাধারণত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীরা ভর্তি হন। যারা সুযোগ পান না তাদের মধ্যে যারা আর্থিকভাবে সচ্ছল তাদের অনেকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। যারা বাকি থাকেন তাদের বেশির ভাগই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজে ভর্তি হন। এবার যাতে ভর্তির সুযোগ হাতছাড়া না হয় সে জন্য অনেককেই আগেভাগে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে হবে। এতে অপেক্ষাকৃত কম জিপিএধারী শিক্ষার্থীরা সুযোগ পাবেন না।

করোনার এই পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বাড়তি খরচ বহন করতে হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য আরও জানান, যদি ভর্তি বাতিলকৃত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেশি হয় তাহলে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবো। যেসব শিক্ষার্থী চলে যায় তাদের ভর্তির টাকা ফেরত দিতে নানা জটিলতা হয়। তবুও এবার সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হয় না, শুধু জিপিএর ভিত্তিতে শিক্ষার্থী ভর্তি করে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় বিভিন্ন কলেজে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন ২৮ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। প্রথম বর্ষে ভর্তি করা শিক্ষার্থীদের অনলাইন ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে। অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ভর্তি পরীক্ষা অক্টোবরে।


সর্বশেষ সংবাদ