বেরোবি উপাচার্যের যোগদান, সকল সংকট নিরসনের আশ্বাস
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নব নিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদ যোগদান করেছেন। আজ সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন এবং উপাচার্য দপ্তরে গিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের দায়িত্ব বুঝে নেন। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে বরণ করে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
যোগদানের পরেই নিজ দপ্তরে বসে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় করেন ড. হাসিবুর রশীদ। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার নিরসন করে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি অনন্য বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
আলাপকালে সাবেক উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর সময়ে বহুল আলোচিত ঢাকাস্থ লিয়াজোঁ অফিসকে বন্ধ ঘোষণা করে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক এবং প্রশাসনিক সভা, সেমিনার থেকে শুরু করে যাবতীয় কার্যক্রম এখন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই অনুষ্ঠিত হবে। সার্বক্ষণিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যম্পাসে উপস্থিত থাকবেন বলেও সাংবাদিকদের জানান তিনি।
শিক্ষার্থীদের সেশনজট এবং পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য বলেন, যোগদান করলাম। এখন সকল শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে পরীক্ষার বিষয়ে সুদূরপ্রসারী এবং কার্যকর একটা পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর সেশনজট যেহেতু অনেক আগে থেকেই হয়ে আসছে তাই এটা সমাধানে সময় দরকার। আশা করি খুব দ্রুত সময়ে সেটারও সমাধান করা সম্ভব হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বিষয়ে তিনি বলেন, ইউজিসি এবং সরকারের সাথে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ থাকা সকল প্রকল্পের কাজ নতুন করে শুরু করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে তিনি সকলের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।
সকল সমস্যা কেটে উঠে নতুন উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়কে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাবিউর রহমান প্রধান। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক বিষয়ে যে সকল সম্স্যা আছে সেগুলো কাটিয়ে উঠতে তিনি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এই প্রত্যাশায় সবচেয়ে বেশি। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে নিয়মের মধ্যে থেকে যা কিছু করার প্রয়োজন বা সম্ভব তার সবকিছুই করার দাবি করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার এখন নতুন করে উপাচার্য হিসেবে যোগদান করায় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সরিফা সালোয়া ডিনা। তিনি বলেন, নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করে সবাই মিলে অংশগ্রহণের ভিত্তিতে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যতদূর এগিয়ে নেওয়া যায় সেটাই যেন করেন এই আশাটাই আমরা করছি। শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমরা গত বছর ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে সমন্বিতভাবে পরীক্ষা নিয়েছি। পরবর্তীতে সরকারের ঘোষণার কারণে কিছু পরীক্ষা বাকি আছে। আমরা একাডেমিক কাউন্সিল এবং শিক্ষকদের সাথে কথা বলে স্যারের নির্দেশনায় প্রত্যাশা রাখতে পারি যে এই সমস্যা থেকে উত্তোরণ হতে পারবো।
আরও দেখুন:
কলিমউল্লাহর বিদায়ে বেরোবিতে শিক্ষার্থীদের মিষ্টি বিতরণ