স্থগিত পরীক্ষা চলমান রাখার দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:১৮ PM , আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:৩২ PM
স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের স্থগিত করা পরীক্ষাসূমহ পুনরায় নেওয়ার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ইসালামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসনিক ভবনের সমানে এসে অবস্থান নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা ‘পরীক্ষা নিয়ে টালবাহানা চলবে না’, ‘একদফা একদাবি, স্থগিত পরীক্ষা নিতে হবে ’, ‘সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাই নাই’, ‘সবখানে সব হয়, পরীক্ষা নিতে কিসের ভয়’,‘বসার কথা পরীক্ষার হলে, বসতে হলো রাজপথে’ সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘ডেকে এনে আমাদের পরীক্ষা নেওয়া হবেনা। এ কেমন প্রহসন? হল বন্ধ থাকায় আমরা নিরাপত্তা ঝু্ঁকি নিয়ে মেসে থাকছি। সব কিছুই স্বাভাবিক, শুধু পরীক্ষাই স্থগিত। ৭ কলেজের পরীক্ষা চললে আমাদের নেওয়া হবেনা কেনো? আমরা মানসিক ও আর্থিক ভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছি। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’
পরে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা নেয়ার দাবিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালামের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে অধিকাংশ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র পরিবারের সন্তান। করোনা মহামারীর কারণে অধিকাংশ শিক্ষার্থী আর্থিক সংকটের সম্মুখীন। একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদনক্রমে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিকাংশ বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল এবং অনেক বিভাগে রুটিন প্রদান করা হয়েছিল।
তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় এবং কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন ম্যাসে নিজ খরচে ও ঋণ করে অবস্থান করছে। অনাকাক্ষিতভাবে পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করায় শিক্ষার্থীরা আর্থিকভাবে এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আমাদের স্থগিত পরীক্ষাসূমহ নেওয়ার অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৭ মে হল ও ২৪ মে থেকে সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম চালু হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এসময়ে কোন ধরনের একাডেমিক পরীক্ষাও নেওয়া যাবে না বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। এ ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে চলমান পরীক্ষাসূমহ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।