নিয়োগ বাণিজ্যের খবর ভিত্তিহীন: খুবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ফটো

সম্প্রতি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি নিয়ে কয়েকটি প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে সেটা সঠিক নয় ও ভিত্তিহিন বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রবিবার জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত জনবলের সাংগঠনিক কাঠামো (অর্গানোগ্রাম) এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) কাছে প্রদত্ত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে বরাদ্দকৃত পদে লোক নিয়োগ দেয়া হয়। এই নিয়োগ প্রদানে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুয়ায়ী সিন্ডিকেট কর্তৃক অনুমোদিত নিয়োগ-নীতিমালা অনুসরণ করেই এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সম্প্রতি প্রকাশিত সংবাদে নিয়োগ-নীতিমালার শর্ত শিথিলের যে তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে অভ্যন্তরীণ প্রার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে এবং যে পদ সংখ্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। এখানে কেবলমাত্র কর্মচারী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়টি উল্লেখ আছে।

এতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তাদের কোনো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা উল্লেখ নেই। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক পরিসর বৃদ্ধি পাওয়ায় ডিন, ডিসিপ্লিন প্রধান এবং বিভিন্ন বিভাগ থেকে চাহিদার ভিত্তিতে এবং প্রয়োজনীয়তার নিরিখে ৪র্থ শ্রেণির ঝাড়ুদার, নিরাপত্তা প্রহরী, অফিস সহায়ক, ল্যাব এ্যাটেনডেন্ট এর মতো কিছু সংখ্যক পদে কিছু লোককে বিভিন্ন সময়ে মাস্টাররোল ও থোক ভাতায় কাজ দেওয়া হয়। এমন অনেক সংখ্যক ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলেও পদের সীমাবদ্ধতার কারণে তাদেরকে স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া যায় নি।

এ প্রেক্ষিতে ইউজিসির কাছে বিষয়টি উল্লেখ করে পদ চাওয়া হলে সম্প্রতি কিছু পদ বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং সেখানে যারা দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন তাদেরকে নিয়মিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ কারণে এসব পদে কেবলমাত্র অভ্যন্তরীণ প্রার্থীরাই এক্ষেত্রে প্রাধান্য পাবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট প্রসঙ্গে যে কথা উল্লেখ করা হয়েছে তা সঠিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যে কোনো প্রশ্ন সৎ সাহসের সাথে উত্তর দিতে সদা প্রস্তুত। ২০০৭ সালের পরে বর্তমান প্রশাসনের আমলেই ২০১৮ সালে সিনেট সভা অনুষ্ঠিত হয়। ২০২০ সালে সিনেট সভার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে তা স্থগিত রাখা হয়। পরিস্থিতি অনুকূল হলেই কর্তৃপক্ষ সিনেট সভার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ