ধর্ম অবমাননা ও নারী বিদ্বেষের অভিযোগ ববি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে

তাওহীদ ফেরদাউস সাওন
তাওহীদ ফেরদাউস সাওন  © টিডিসি ফটো

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মুসলিম নারী বিদ্বেষ ও দেনমোহর নিয়ে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠেছে। তিনি কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহীদ ফেরদাউস সাওন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ টাইমলাইনে দেয়া এক পোস্টে তিনি এমন উগ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত তরেন। পাঠকদের জন্য ওই শিক্ষার্থীর পোস্টের আপত্তিকর শব্দগুলো বাদ দিয়ে
এখানে তুলে ধরা হলো।

ওই শিক্ষার্থী লেখেন, “এই যুগে দেন মোহর দিয়া বিয়া করার চাইতে বেশ্যাপাড়ার কোন বেশ্যাকে কিনে নিয়ে তারে নিয়া সংসার চালানোই বেটার।এটলিস্ট কৃতজ্ঞতার বশে হইলেও লয়্যাল থাকবে। নাইলে যান, ১৫-২০ লাখ মোহরানা দিয়া বিয়া করতে, হয় বাসর রাতে হবু ওয়াইফের পায়ের তলা চাইট্ট্যা মাফ করায় নিবেন, নয়তো মনোমালিন্য হইলেই আপনার ওয়াইফ ডিভোর্স লেটার পাঠায়া খোরপোশ আর দেনমোহরের উসুল চাইবে।

হুদাই সারাজীবনের ইনকামও ....... দিবেন আবার ভাগ্য ভালো থাকলে ১৪ এর কোন ধারায় ১৪ শিকে ৭-১০ বছর জেলে থাইক্ক্যা কিশোর ওয়ার্ডের পোলাপাইনের ...... মাইর‍্যা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবেন।

The ultimate mother.... choice is yours.

আসলে বাংলাদেশের মুসলিম বিবাহ সিস্টেমটাই একটা মাদার..... লেভেলের ..... সিস্টেম। না আছে মুসলিম, না আছে বিবাহ। আছে খালি কতিপয় জন্মগত ...... থুক্কু ব্যবসায়ী।”

এদিকে, নারীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ ও মুসলিম বিবাহ নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এই পোস্টে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন কমেন্টে করলে সেখানেও নারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা হয় বলে জানান শিক্ষার্থীরা। কমেন্টে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে ‘বাঙ্গালী মুসলিম নারী মানেই বেশ্যা’ বলে অভিহিত করেন শিক্ষার্থী তাওহীদ ফেরদাউস সাওন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী জানান, সে শুধু একজন নারীকে নিয়ে কথাটা বলেনি বলেছে সকল নারীদের। আর নারীদের এভাবে বেশ্যা তলফাটা নানারকম বাজে মন্তব্য করেছে। এছাড়া এক নারীকে সে সরাসরি কমেন্টে খুব বাজেভাবে গালি দেয়। তাছাড়া সে শুধু নারীকে বলেই থেমে নেই।

তিনি বলেন, যেই তার বিরুদ্ধে কথা বলে তাকে সে জামাত, শিবির বলে মন্তব্য করে। এছাড়া সে মারার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছে। তার এসব আচরণের জন্য আমি একজন নারী হিসেবে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এর দাবি জানাই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী পরিচয় দেয়া তাওহীদ ফেরদাউস শাওন বলেন, আমি গতকাল পোস্টটা ডিলেট করে দিয়েছি এবং আমি তার ব্যাখ্যা দিয়ে একটি পোস্টও শেয়া করেছি।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস বলেন, এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে এবং সেগুলো পর্যালোচনা করে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে ব্যবস্থা নেবো।


সর্বশেষ সংবাদ