শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাপও শিক্ষার্থী আত্মহত্যার কারণ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২০, ০৯:২৯ PM , আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২০, ০৯:২৯ PM
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রেশার ক্রিয়েটও শিক্ষার্থী আত্মহত্যার একটি কারণ বলে মনে করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে ‘করোনাকালীন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা বিষয়ে করনীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সেমিনারে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, সপ্তাহ খানেক ধরে কেবলমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়, বেশকিছু আত্মহত্যার প্রবণতা লক্ষ্য করছি। হয়তো শিক্ষার্থীরা অনেকেই বলছে যে, তাদের ব্যক্তিগত সর্ম্পক, বাবা-মার সাথে অনেক দিন ধরে থাকছে। এসব কারণে আত্মহত্যা করতে পারে। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে যে, যখন স্টুডেন্টরা সাধারণ একটা পিয়ার গ্রুপে থাকে তখন তারা যতটা না হেলথি থাকে, এখন কিন্তু তারা সেই হেলথি অবস্থায় নেই। তার ওপরে একটা প্রেশার কিন্তু আমরা বিভিন্নভাবে ক্রিয়েটও করছি। আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্রিয়েট করছি।
তিনি বলেন, করোনা শুধু শিক্ষাখাতকে উদ্বিগ্ন করেছে তা নয়। দেশের স্বাস্থ্য, শিল্প, অবকাঠামোসহ সব খাতকে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্যা সংস্থা বলেছে, এই মহামারী আমদেরকে যেভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে সেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবে শিক্ষাখাত এবং সবচেয়ে বড় একটা জায়গা হচ্ছে আমাদের মানসিক-মনস্তাত্ত্বিক জগত।
তিনি বলেন, আমরা অনেক কিছু নিয়ে আলাপ-আলোচনা করি। তবে যে জিনিসটা একবারে টাচ করছি না, সেটি হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক জায়গা। করোনাকালে আমাদের মনস্তাত্ত্বিক জায়গটা কতটুকু ভালো আছে? তাই আমরা বলেছিলাম যে, প্রথমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় সম্পৃক্ত হয়ে চেয়েছি যে শিক্ষার্থীরা কেমন আছে তা জানার প্রয়োজন। তাদের মনোজগতটাকে একটু স্বস্তি দেয়া এবং চাঙ্গা রাখার জন্য। কিন্তু পরবর্তীতে সেটা আর হয়ে উঠেনি।