জবির সংগীত বিভাগ

পরীক্ষার ১৩ মাসেও ফল নেই, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

  © ফাইল ফটো

সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার ১৩ মাস পেরিয়ে গেলেও রেজাল্ট পায়নি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে শিক্ষার্থীরা দ্রুত সময়ে ফল প্রকাশসহ নানা দাবি জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। স্নাতক শেষ সেমিস্টারের ফলাফল প্রকাশ না হওয়ায় কোনো ধরনের চাকরির পরীক্ষায়ও আবেদন করতে পারছেন না তারা। এতে করে অনিশ্চয়তায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের ৮ তারিখ শেষ হয়েছে অনার্স ৮ম সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা। পরক্ষার ১৩ মাস পেরিয়ে গেলেও ২০১৪-১৫ সেশনের এসব শিক্ষার্থী আজ পর্যন্ত সেই পরীক্ষার ফল পায়নি। ফলে ৪ বছরের অনার্স কোর্স ৬ বছরেও শেষ হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে শিক্ষার্থীরা।

এদিকে, ফল প্রকাশ না করার পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসকে দুষছেন বিভাগের শিক্ষকরা। আর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে কর্মকর্তারা বিভাগের শিক্ষকদের চরম গাফিলতিকে দায়ী করছেন।

শিক্ষার্থীরা বলছে, ফলাফল প্রকাশে এমন দীর্ঘসূত্রিতার ফলে বিভিন্ন চাকরিতে আবেদন করা থেকে পিছিয়ে পড়াসহ শিক্ষার্থীদের মাঝে হতাশা বাড়ছে। এমন সমস্যার জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসীনতাকেই দায়ী করছেন তারা। 

বিভাগের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, বিভাগের চেয়ারম্যান আমাদের কোর্স টিচার হলেও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখেন অন্য এক শিক্ষক। পরীক্ষার শেষ হওয়ার এক বছর পার হয়ে গেলেও আমরা ফলাফল পাইনি। বিভাগে রেজাল্টের কথা বললে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসকে দুষেন।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, রেজাল্টের জন্য মাঝে একবার উপাচার্য বরাবর অভিযোগ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলাম কিন্তু এখনো মাস্টার্স বাকী। তাই ভয়ে আর যাওয়া হয়নি। অনলাইনে  মোটামুটি সব বিভাগের মাস্টার্সের ক্লাস চলছে। রেজাল্ট না দিয়ে আামদেরও ক্লাস শুরু হয়। দুই সপ্তাহ ধরে সেটাও বন্ধ আছে।

এ বিষয়ে সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আলী এফ এম রেজোয়ান বলেন, আমরা ডেমো রেজাল্ট পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ অফিসে পাঠিয়েছি। ওখানে কিছু ভুল থাকায় আবার আমাদের কাছে পাঠিয়েছে। আগামী দুইদিনের মধ্যে রেজাল্ট বিভাগে চলে আসবে। রেজাল্ট আসলে প্রকাশ করা হবে বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ. কে. এম. আক্তারুজ্জামান বলেন, চলতি বছরের ৬ মার্চ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসে ডেমো রেজাল্ট পাঠায় সংগীত বিভাগ। পরে সংশোধনীর জন্য আবার বিভাগে পাঠানো হয়। এরপর গতকাল আবার তারা রেজাল্ট পাঠায়। সেটাতেও ভুল থাকায় আমরা ফেরত পাঠিয়েছি।

নজিরবিহীন ঘটনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিভাগ থেকে রেজাল্ট দেওয়ার পর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সর্বোচ্চ ১৫-২০ দিন সময় নেয়। এক্ষেত্রে সময়ক্ষেপণ করা সংশ্লিষ্ট বিভাগের চরম গাফিলতি।


সর্বশেষ সংবাদ