শিক্ষার্থী নির্যাতনের প্রতিবাদে খুবিতে মানববন্ধন
- খুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:২৬ PM , আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০৭:২৬ PM
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুবি) শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনের বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। আজ রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, এখন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা সব জায়গায় অনিরাপত্তায় ভুগছে। আজকে আমরা দুইটা দাবি নিয়ে এখানে এসেছি। একটা বিষয় হচ্ছে শিক্ষার্থীদের উপর এ হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আল আমিন মৃধাকে অভিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হয়েও আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। পরিস্থিতি এমন হলে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে? এই যে সমাজের পচন এটার জন্য কারা দায়ী? দায়ী তো সমাজের ক্ষমতাশীল ব্যক্তি বা পাতি নেতারাই। এটা থেকে আমরা অনতিবিলম্বে মুক্তি চাই। আমরা আমাদের নিরাপত্তা চাই।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাত আনুমানিক ৩ ঘটিকায় একজন মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন ডোনারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ছয় জন শিক্ষার্থী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) উপস্থিত হয়। রক্তের ব্যাগ কেনার সময় হাসপাতালের বিপরীতে একটি ফার্মেসীতে যাওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী প্রাইভেটকার শিক্ষার্থীদের পা ঘেঁষে চলে যায়।
অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে শিক্ষার্থীরা এভাবে গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ জানালে গাড়ির ভেতর থেকে দু’জন এসে শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণাতক হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদেরকে মারধর শুরু করে। পরে শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে পেরে আরো চড়াও হয়ে পার্শ্ববর্তী গলিতে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়।
হামলার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। এমনকি আমাদেরকে প্রাণনাশেরও হুমকিও দেওয়া হয়েছিল। আমরা সেখানে থেকে কোনভাবে বেচে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আশ্রয় নেই। কোনরকম আত্মগোপন করে আমরা বেচে ফিরি। আমরা এরকম ঘটনার বিচার চাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন বলেন, ঘটনাটি জানতে পারার সঙ্গে সঙ্গেই সোনাডাঙ্গা থানার সহকারী কমিশনারকে ফোন করেছি। তিনি অভিযোগটিকে জিডি হিসেবে গ্রহণ করেন। এ ঘটনার তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।