বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা: চবি উপাচার্য
- চবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২০, ০১:৪৮ PM , আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২০, ০১:৪৮ PM
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির আলোকবর্তিকা; যাঁর আলোয় বাঙালি জাতি আজ বিশ্ব দরবারে স্বমহিমায় আলোকিত।
আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপাচার্য দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ৪৫ তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু’র জীবন ও কীর্তি’ এবং ‘শোকাবহ ১৫ আগস্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ১৫ আগস্টের ক্ষত চিহ্ন বাঙালি জাতিকে বয়ে বেড়াতে হবে যুগ যুগ ধরে। এ মহাপুরুষ মা-মাটি ও মানুষকে ভালোবাসতেন বলেই বাঙালি জাতির জন্য নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। মৃত্যুঞ্জয়ী এ মহাপুরুষকে স্বপরিবারে হত্যা করে হায়নার দল চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে বিশ্ব মানচিত্র থেকে নিশ্চিহ্ন করতে; কিন্তু তাতে তারা সফল হয়নি।
আলোচনা সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন চবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর এস এম মনিরুল হাসান। এছাড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত এবং বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন চবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব হাফেজ আবু দাউদ মুহাম্মদ মামুন, পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন চবি রসায়ন বিভাগের প্রফেসর ড. তাপসী ঘোষ রায় এবং পবিত্র ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন চবি পালি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব অরূপ বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে একমিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
সকাল ১০ টায় চবি পরিবারের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। অতঃপর পুস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চবি শিক্ষক সমিতি, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অফিসার সমিতি এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী অন্যান্য শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল মসজিদে দোয়া মাহফিল, বিশেষ মোনাজাত এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের স্ব স্ব উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে আগত বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যবৃন্দ কালো ব্যাজ ধারণ এবং মাস্ক পরিধান করে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন।