রাবি ইমেরিটাস অধ্যাপক প্রত্নতাত্ত্বিক এবিএম হোসেন আর নেই

প্রখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ড. এ বি এম হোসেন
প্রখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ড. এ বি এম হোসেন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং প্রখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ড. এ বি এম হোসেন আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। শুক্রবার দিবাগত রাত ২টায় রাজধানীর স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

রাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এবিএম স্যারের মৃত্যুতে আমরা একজন অভিভাবক হারালাম। জাতি হারাল একজন বিদগ্ধজন। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

২০০১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম প্রফেসর ইমেরিটাস হিসেবে সম্মাননা প্রাপ্ত হন ড. হোসেন। তার নিবিড় গবেষণার বিষয়বস্তু ইসলামি শিল্পকলা হলেও তিনি তার মূলধারার বিষয় মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাস থেকে সরে দাঁড়াননি। তার লিখিত গবেষণা গ্রন্থের সংখ্যা ১১টি। ১৯৭৭ সালে নরওয়েজিয়ান পার্লামেন্ট তাকে নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য গঠিত বোর্ডে তাদের মনোনীত সদস্য নির্বাচিত করেন। তিনি বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি ও বাংলা একাডেমির সম্মানিত আজীবন ফেলো।

অধ্যাপকের পুরো নাম আবুল বাশার মোশারফ হোসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস ও ইসলামি শিল্পকলা বিষয়ের বিশেষজ্ঞ। তার জন্ম ১৯৩৪ সালে কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার উপজেলায় ধামতী গ্রামে। দেবীদ্বার হাইস্কুল, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের সাফল্যে তৎকালীন পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার উচ্চশিক্ষার জন্য তাকে মেধাবৃত্তি দিয়ে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠায়।

সেখানে তিনি ১৯৫৮ ও ১৯৬০ সালে ইতিহাস ও ইসলামিক আর্কিওলজিতে যথাক্রমে অনার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করে মেধার স্বাক্ষর রাখেন। ১৯৬০ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন এবং ১৯৭২ সালে পূর্ণ প্রফেসর পদে উত্তীর্ণ হন। পরবর্তীতে তিনি বিভাগীয় প্রধান, চেয়ারম্যান, কলা অনুষদের ডিন ও প্রশাসনিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছিলেন।


সর্বশেষ সংবাদ