মেস ভাড়ার বিষয়ে কুবি প্রস্তাব করলে ব্যবস্থা নেবে জেলা প্রশাসন
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১০ মে ২০২০, ০৫:৩১ PM , আপডেট: ১০ মে ২০২০, ০৫:৩১ PM
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। পর্যাপ্ত আবাসন সুবিধা না থাকায় কুমিল্লা শহর, কোটবাড়ি এবং ক্যাম্পাস এলাকায় বেশিরভাগ শিক্ষার্থীকেই মেস বা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে হয়। মেসে না থেকেও এ কয়েক মাসের ভাড়া দিতে হবে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব শিক্ষার্থীরা। তবে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি তাদের কাছে বিষয়টি অবহিত করেন তাহলে তারা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিবেন।
জানা যায়, করোনাভাইরাসের কারণে মার্চ মাসের মাঝামাঝি থেকে শিক্ষার্থীরা মেস বা বাসা থেকে নিজ নিজ এলাকায় চলে যান। অপ্রতুল আবাসন ব্যবস্থার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীই এসব এলাকায় মেস বা ভাড়া বাসায় থাকেন। যাদের অনেকেই টিউশন করিয়ে বাসা ভাড়াসহ নিজেদের খরচ চালান। কিন্তু এ পরিস্থিতিতে তাদের ভাড়া দেয়ার মতো অবস্থাও নেই। আবার অনেক শিক্ষার্থীর পারিবারিক আয় বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন তারা। এদিকে বাড়িওয়ালারাও ভাড়ার জন্য চাপ দিচ্ছেন।
ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী কাউসার হামিদ জীবন বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে অনেকের পরিবারের পক্ষ থেকে মেসের ভাড়া দেওয়া কঠিন। আর যারা টিউশন করে চলতো এখন করোনা পরিস্থিতির কারণে বাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে তারা কীভাবে মেস ভাড়া দিবে সেটাও ভাবার বিষয়। এই ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর ভ‚মিকা রাখতে পারে বলে আমি মনে করি।’’
আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী ইসতিয়াক হোসেন শুভ বলেন, ‘‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিভিন্ন টিউশন বা খন্ডকালীন চাকুরীর মাধ্যমে নিজেদের খরচ নিজেরাই বহন করে থাকি। দেশের এই পরিস্থিতিতে সকল কিছু বন্ধ থাকায় বাড়ি ভাড়া আমাদের বেশীরভাগের কাছেই মরার উপর খড়ার ঘা এর মতো।’’
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি আমাদেরকে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠায় তাহলে আমরা স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিব।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে কথা বলবো। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’