শিক্ষার্থীদের বাড়িভাড়া মওকুফের দাবি ইবি ছাত্রনেতাদের
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০২ মে ২০২০, ০৭:৪৮ PM , আপডেট: ০২ মে ২০২০, ০৮:০৭ PM
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের মেস/বাড়িভাড়া মওকুফের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ছাত্রনেতারা।
বাড়িভাড়া মওকুফের জন্য ঝিনাইদহ জেলার মেয়র শাইদুল করিম মিন্টু বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির মাহফুজ মাসুদ। স্মারকলিপিতে তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের আরো পাঁচ মাসের মতো বাসায় থাকতে হতে পারে। কিন্তু মেসের মালিকরা ভাড়া পরিশোধ করতে তাগিদ এবং মানসিক চাপ সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী গ্রামের দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা। অধিকাংশ শিক্ষার্থী টিউশনি ও পার্টটাইম জব করে নিজেদের খরচ বহন করে থাকে এবং এর থেকে পরিবারকে সাহেয্য করে। করোনা পরিস্থিতিতে সব কিছু বন্ধ থাকায় তাদের আয়ের কোন উৎস নেই। আমার আকুল আবেদন কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর দিক বিবেচনা করে মেস ভাড়া মওকুফ করার জন্য মেস মালিকদের সাথে আলোচনা পূর্বক একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে আপনার মর্জি হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ দুই জেলার জেলা প্রশাসক ও রাজনৈতিক নতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই তৃতীয়াংশ শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরে মেসে অবস্থান করে। বর্তমানে তাদের মেসের মালিকরা ভাড়া পরিশোধ করতে তাগিদ দিচ্ছেন এবং চাপ সৃষ্টি করছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদের আরো কয়েকমাস বাসায় অবস্থান করতে হতে পারে। তাদের বেশিরভাগ পরিবার একামাত্র কৃষি কাজের উপর নির্ভরশীল। এই অনাকাঙ্ক্ষিত করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে দেশে লকডাউন চলায় একমাত্র আয়ের উৎস বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় মেস ভাড়া মওকুফ করার জন্য মেস মালিকদের সাথে আলোচনায় বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য সুমহান মর্জি হয়।
এছাড়া সংবাদ বিবৃতিতে ইবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আমাদের দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বড় অংশ মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের। যারা মূলত টিউশন বা পার্ট টাইম জব করে নিজের খরচ চালায় এবং অনেক শিক্ষার্থী পরিবারকেও সাহায্য করে। চলমান লকডাউন পরিস্থিতির কারণে এই শিক্ষার্থীরাও উপার্জনহীন তাদের পরিবারেরও উপার্জন বন্ধ। ফলে অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার মানবেতর দিন পার করছে।
তারা বলেন, এমতাবস্থায় বাসা/মেস ভাড়া দেয়া তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান রাখছি কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে বাসা/মেস মালিকদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে লকডাউন কালীন বাসা/মেস ভাড়া মওকুফ করাতে উদ্যোগ নিয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াবেন।
বিষয়টি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারীকে অবহিত করলে তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতে শিক্ষার্থীদের দাবি যৌক্তিক। আমি চাইবো জেলা প্রশাসক বিষয়টি সহানুভূতির সাথে দেখবে।’