খুবিতে নাচের ছন্দে মুগ্ধ দর্শকেরা
- শরিফুল ইসলাম, খুবি
- প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০২:১১ PM , আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:৩৮ PM
নাচের সংগঠন রিদমের আয়োজনে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় নৃত্য উৎসব সিজন-২ এর আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে বিকাল চারটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত মাতিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এ আয়োজনের মঞ্চে কখনো প্রেম, ভালোবাসা আবার কখনো রাগ, অনুরাগ, প্রতিবাদ। কখনো বিরহকাতর যুগলের গল্প। আবার কখনো মন ছুঁয়ে যাওয়া বাস্তব জীবনধারা উঠে এসেছে। এসব নাচের ছন্দে। দৃষ্টিনন্দন দেহভঙ্গিমার মাধ্যমে শৈল্পিকভাবে পার্থিব ও অপার্থিব সব ভাব প্রকাশের কাহিনীর বুনন চলেছে নাচের তালে তালে।
এতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পীদের নাচে ছিল বেশিরভাগ দলীয় পরিবেশনা। মায়াবী এইসব নৃত্যশিল্পীদের দলীয় নাচ পরিবেশনায় মন্ত্র মুগ্ধ হয়ে যায় দর্শকরা। নেচে গেয়ে করতালির মাধ্যমে নিজেদের অনুভূতি ও আবেগ প্রকাশ করতে দেখা যায় দর্শকদের। শুরুতে মঞ্চে আসে খুমেক শিল্পীরা এবং শেষে শেকৃবি ড্যান্স দলের শিল্পীদের অসাধারণ নাচের পরিবেশনায় অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়। প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাচের দলকে নৃত্য শেষে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
গত শনিবার (১৫ ই ফ্রেব্রুয়ারি) বসন্ত বরণকে কেন্দ্র করে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর ‘রাঙিয়ে দিয়ে যাও যাও যাও গো এবার যাবার আগে’ গানের সঙ্গে একদল শিল্পীর নাচ। এরপর একে একে মঞ্চ মাতানো সব পরিবেশনা। সমাজ কিংবা গল্প ইতিহাসের কথাও নাচের মাধ্যমে উঠে এসেছে। মুগ্ধ দর্শকেরা বুঁদ হয়ে ছিলেন ছয় ঘণ্টা।
এবারের সিজন-২ তে দেশের আটটি বিশ্ববিদ্যালয় অংশ নিয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুপ্রবি), শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), খুলনা মেডিকেল কলেজ(খুমেক), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) এবং নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিটি নৃত্যে ছিল সমাজি, আধুনিক ও পাশ্চাত্য ধাঁচের।
রিদম সংগঠনটির সভাপতি দেবশ্রী সেন ঐশী অনুষ্ঠানটি সফলভাবে সমাপ্ত করতে পেরে নিজের অনুভুতি প্রকাশে বলেন, এবারের অনুষ্ঠানটি গতবারের আয়োজনকে ছাড়িয়ে গেছে। দর্শকদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মত। সামনের বছর আরও ভাল করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। এবারের অনুষ্টানটির কো–স্পনসর ছিল স্টুডিও কল্পকথা, ফটোগ্রাফি পার্টনার খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ফটোগ্রাফি সোসাইটি এবং সিনেমাটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি পার্টনার ছিল পারপেল বার্ড ও স্টেজ এবং ডেকেরোশন পার্টনার ছিল কারিগরি কারখানা।