ইবি শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় কর্মকর্তার শাস্তি দাবি
- এ আর রাশেদ, ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০২:৪৮ PM , আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৩:৪৮ PM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলায় আরিফুল হক নামের এক কর্মকর্তার শাস্তির দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। রোববার (১৬ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারীর নিকট স্মারকলিপি দেন তারা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলন নিয়ে সমালোচনা করায় শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি চলাকালে শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থগারের শাখা কর্মকর্তা ও সাবেক লিপিকৌশলী আরিফুল হক।
শিক্ষার্থীরা সনদ উত্তোলনের আবেদনপত্র লিখতে পারে না বলে এসময় মন্তব্য করেন তিনি। এসময় শিক্ষার্থীদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘যে ছাত্র সার্টিফিকেট তোলার সময় আবেদন লিখতে পারে না। সে ছাত্র ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় কিভাবে?’
এ ঘটনার পর গতকাল (শনিবার) এই মন্তব্যের তীর্ব নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ মন্তব্যের নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারও হুশিয়ারি দেন তারা। অন্যথায় তার বরখাস্তের দাবিতে আন্দোলনে নামারও ঘোষণা দেন তারা।
সর্বশেষ রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কর্মকর্তা আরিফুলের শাস্তির দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও বিশ^বিদ্যায় শাখা ছাত্র মৈত্রী। এসময় তারা এ মন্তব্য প্রত্যাহারের পাশাপাশি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আব্দুর রউফ বলেন, ‘আরিফুল হক যে মন্তব্য করেছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। ইবি ছাত্র মৈত্রীও এর সাথে একাত্বতা পোষণ করেছে। আমরা চাই প্রশাসন তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিক।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কর্মকর্তা আরিফুল হক দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিষয়টি ভুলবশত হয়ে গেছে। এজন্য আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ধরণের মন্তব্য খুবই গর্হিত। শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সে ক্ষমা না চাইলে পরবর্তীতে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’
উল্লেখ্য, ১৬ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতি। সম্প্রতি ১৬ দফা দাবির মধ্যে পোষ্য কোটায় ভর্তির ক্ষেত্রে নূন্যতম যোগ্যতা থাকলে ভর্তি করা ও ক্যাম্পাসের দৈনিক কর্মঘণ্টা কমানো সম্পর্কে ফেসবুকে বিভিন্ন সমালোচনা করেন শিক্ষর্থীরা।