বেরোবি উপাচার্যের দুর্নীতি প্রকাশ প্রতিবাদে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের সংবাদ সম্মেলন
- বেরোবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০১:৩৭ PM , আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০২:৫৩ PM
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ’র নানাবিধ দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রায় অর্ধশতাধিক অভিযোগ প্রকাশের পরেরদিন তার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে সদ্য নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের সংগঠন ‘নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক ও ‘নব প্রজন্ম শিক্ষক পরিষদে’র আহ্বায়ক সুমাইয়া তাহসিন হামিদা।
লিখিত বক্তব্যে হামিদা বলেন, বর্তমান উপাচার্যের সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি গুণগত ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে ক্রমেই এগিয়ে চলছে। উন্নত বিশ্বের সাথে মিল রেখে বিভিন্ন বিভাগে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম চালু করা হয়েছে। আইসিটি সেলে ইতোমধ্যে আধুনিক ডেটা সেন্টার প্লানিং সম্পন্ন হয়েছে। দেশের পাবিলিক বিশ্ববিদ্যালয়েল ইতিহাসে সর্বপ্রথম এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস রেডিও চালু করা হয়েছে। এছাড়া ২০২০ সালে প্রথম বারের মতো সমাবর্তনের আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন এমন অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় যখন অবকাঠামোগত ও গুণগত উন্নয়নের গতিশীল ধারায় প্রবেশ করেছে। ঠিক তখনি কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজেদের দখলদারিত্ব ও নিয়োগ বাণিজ্য অব্যাহত রাখার অভিপ্রায়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। যারা ইতোপূর্বে শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও প্রভাব ও দুর্নীতির আশ্রয়ে শিক্ষকতার মতো মহান পেশায় এসেছেন।
এদিকে গতকাল (০৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২ টায় উপাচার্যের নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’ নামে শিক্ষকদের আরেকটি সংগঠন। এতে তারা উপাচার্যের প্রায় অর্ধশতাধিক দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন।
তারা বলেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে একটি ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। উপাচার্য ও রেজিস্ট্রার দিনের পর দিন ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকায় ভেঙ্গে পড়েছে চেইন অব কমান্ড। ৬ অনুষদের ৩টিতে ডিন, সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইন্সটিটিউটের পরিচালক এবং উপ-উপাচার্যের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ আঁকড়ে ধরে আছেন উপাচার্য। তিনি একাই অর্ধ শতাধিক কোর্স পড়ানোর দায়িত্ব নিলেও কোনো কোর্সে পড়াননি। কিন্তু কোর্স পড়ানো বাবদ লাখ লাখ টাকা গ্রহণ করেছেন।
ক্ষমতার অপব্যবহারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকার লিয়াজোঁ অফিসে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা, নিয়োগ বোর্ড ও আপগ্রেডেশন বোর্ডসহ অসংখ্য সভা করেন উপাচার্য। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাখ লাখ টাকা খরচ হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ী তার ব্যক্তিগত সংস্থা জানিপপের (জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ) কাজে নিয়মিত ব্যবহার করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীকে তিনি তার নিজের বাসায় রেখেছেন। তিনি বাসায় না থাকলেও ১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন।